অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ : পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে ভালো লাগলো। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর বিদেশি সংবাদ মাধ্যম থেকেই পেতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ফুটা করে বিদেশে পাচার করার খবর আমরা জেনেছি ফিলিপাইনের পত্রিকা থেকে, দেশ থেকে কতো সম্পদ প্রতিবছর পাচার হয় তার খবর আসে বিদেশি গবেষণা সংস্থা ও মিডিয়া থেকে, আর সর্বশেষ আল-জাজিরার রিপোর্ট থেকে আমরা জেনেছি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতারণা জালিয়াতি ও ব্যবসা বাণিজ্য বাগানোর খবরাখবর।
সরকারের ‘অসত্য’, ‘উদ্দেশ্যমূলক’, ‘অপপ্রচার’ ইত্যাদি কথা খুব পুরনো। বাংলাদেশে দুর্নীতি, বন-নদী খুন, সন্ত্রাস, ক্রসফায়ার, মানুষের অধিকার হরণ কোনোকিছুই সরকার স্বীকার করে না। আত্মসন্তুষ্টি, নিজের ঢোল পেটানো আর সত্য অস্বীকার সরকারের বড় বৈশিষ্ট্য। আল-জাজিরার এই রিপোর্ট নিয়ে সরকার মামলা করবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেখলাম।
ভালো খবর, করলে খুব ভালো হয়। এর মধ্য দিয়ে সত্য পরিষ্কার হতেও পারে। তবে এগুলো তো তুলনায় খুবই ছোট বিষয়। আমরা তো চোখের সামনেই দেখছি নদীর পর নদী নর্দমা হচ্ছে বা দখল হচ্ছে, সুন্দরবন থেকে সকল বন দখল আর বিনাশে তৎপর চেনা গোষ্ঠী, প্রাণঘাতী প্রকল্প পাশ হচ্ছে একের পর এক, দেশের সম্পদ নিয়ে জালিয়াতি শেয়ার ব্যবসা হচ্ছে লন্ডনে, সকল প্রকল্পের ব্যয় বিশ্বের সব দেশের চাইতে বহু বেশি, ব্যাংকগুলো দিনেরাতে ডাকাতি হচ্ছে, নির্বাচনসহ সকল প্রতিষ্ঠানের বারোটা- অবাধ মাফিয়াতন্ত্র ছাড়া আর কীভাবে এগুলো অবাধে সম্ভব? বিদেশের কোনো মাধ্যম আর কী খবর দেবে? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :