রাজেশ গৌড়: [২] টংক আন্দোলনের অন্যতম নারী নেত্রী কুমুদিনী হাজং। ব্রিটিশ আমলে গারো পাহাড়ের পাদদেশে নেত্রকোনার সীমান্তে তাঁর জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা ও পরবর্তীতে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন এই সংগ্রামী নারী। হাজং বিদ্রোহের কথা জানতে হলে ও ইতিহাস ঘাটলে চলে আসে কুমুদিনী হাজংয়ের নাম।
[৩] টংক আন্দোলনের একমাত্র কালের সাক্ষী হয়ে জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় ঐতিহাসিক বহেরাতলী গ্রামে বয়সের ভারে নূঁয়ে পড়া অবস্থায় দিনযাপন করছেন কমরেড কুমুদিনী হাজং। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যার ছিলো প্রতিবাদী শক্ত অবস্থান। এই নেত্রীর প্রতি দুর্গাপুরবাসীর রয়েছে শ্রদ্ধা, গর্ভবোধ ও অহংকার।
[৪] বিট্রিশ বিরোধী টংক আন্দোলনের সংগ্রামী নেত্রী কুমুদিনী হাজংকে নিজের বাড়িতে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে সম্মাননা স্বারক এবং অর্থ সহ কম্বল ও খাদ্য সহায়তা।
[৫] শনিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান তাঁর হাতে তুলে দেন এ সম্মাননা স্মারক ও সহায়তা সামগ্রী।
[৬] এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা ফারজানা খানম, দুর্গাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী, সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারি কমিশনার ভূমি রুয়েল সাংমা ও অফিসার ইনচার্জ মো. শাহনুর-এ আলম, কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :