সমীরণ রায়: [২] করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের ওপর প্রভাব না ফেললে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। তবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
[৩] তারা বলেন, ইতোমধ্যে ৮টি বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দিয়েছে দলের হাইকমান্ড। তারা যার যার বিভাগীয় সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো যতদ্রুত সম্ভব শেষ করবে। এরমধ্যে রয়েছে, সম্মেলন হওয়া জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি দেওয়া, বাকি সম্মেলনগুলো শেষ করা, অনুপ্রবেশকারী ও বিভিন্ন সময় দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিদ্রোহীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
[৪] একইসঙ্গে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ত্যাগী কর্মী যারা কমিটিতে পদ-পদবী পাননি, তাদের খুঁজে বের করাসহ স্থানীয় পর্যায়ের দলের মধ্যে বিরোধ মেটানোসহ অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া।
[৫] আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বছর জুড়েই আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলবে। ইতোমধ্যে সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
[৬] আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, করোনার কারণে দলের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চললেও কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন বছর থেকে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করা হবে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী বছর আওয়ামী লীগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব