নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] গত ১৩ ডিসেম্বর বাবা হারান জেমকন খুলনার অন্যতম সেরা পেসার শহীদুল ইসলাম। শেষবার বাবাকে দেখতে যাওয়ায় ছিলেন কোয়ালিফায়ার ম্যাচে।
[৩] তবে ফাইনালে আবারো ফিরে এসেই বাবা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলকে শিরোপা জেতালেন পেসার শহীদুল।
[৪] এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জেমকন খুলনা পায় লড়াইয়ের পুঁজি। এরপর শুরুর শামুক গতির ব্যাটিং সামলে পরে চালিয়ে খেলা সৈকত আলীর ফিফটিতে লক্ষ্য স্পর্শ করার সম্ভাবনা জাগায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
[৫] কিন্তু পেসার শহিদুল ইসলাম শেষ ওভারে করেন নজরকাড়া বোলিং। চট্টগ্রামকে জয়ের স্বপ্ন দেখানো দুই ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ও ফিফটি করা সৈকতকে টানা ২ বলে ফিরিয়ে ২ উইকেট নেন শহীদুল।
[৬] তাতে ৬ বলে ১৬ রানের সমীকরণ মেলানো হলো না চট্টগ্রামের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের অভিষেক আসরে ৫ রানে জিতে শিরোাপ জয়ের উল্লাসে মাতল খুলনা।
[৭] শুক্রবার ১৮ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৫ রানে জিতেছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা। ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মোহাম্মদ মিঠুনের চট্টগ্রাম থামে ৬ উইকেটে ১৫০ রানে।
[৮] উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে সবমিলিয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন শহীদুল ইসলাম। যেখানে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সেরা উইকেট শিকারের রেকর্ড। শহীদুল সেরা বোলিং ফিগার ১৭ রানে ৪ উইকেট।