আজহারুল হক: [২] ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিয়ের প্রলোভনে ৬ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, অতঃপর সন্তান জন্ম নেয়ার অভিযোগে উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের খোদাবক্সপুর গ্রামের দামেশ আলীর পুত্র মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৩] শনিবার আদালতের মাধ্যমে ধর্ষক মোজাম্মেলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
[৪] গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন জানান, আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভনে ছয় মাস ধর্ষণের অভিযোগ ও সন্তান জন্মদানের ঘটনায় চলতি বছরের ৮ জুন থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় তাকে শুক্রবার ময়মনসিংহের সুতিয়াখালী বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
[৫] ভিকটিম ভাষ্য, উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের খোদাবক্সপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ধর্ষণ করে। এরপরে জোরপূর্বক একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এ ঘটনায় তিনি অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়েন।
[৬] এরপরে তাকে নিয়ে মোজাম্মেল হক ঢাকা চলে যান। সেখানে হুজুর ডেকে এনে বিয়েও করেন। তারপরে একটি গার্মেন্টে চাকুরী নেন ওই নারী। সেখানে মোজাম্মেল হকও নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। ২০১৯সালের ১৩ আগস্ট পুত্র সন্তানের জন্ম হয় বনশ্রী ফরাজি হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে মোজাম্মেল আমাকে এবং সন্তান সাইমুনকে বাসায় রেখে যান।
[৭] এরপরে আর কোন খোঁজ-খবর নেননি। ২০২০সালের ২৮ মে স্বামীর বাড়িতে গেলে মোজাম্মেল তাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি। স্ত্রী আর সন্তানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিয়ের কাগজপত্র না থাকায় সন্তানের পরিচয়ও স্বীকার করেননি। এ ঘটনায় ওই ভিকটিম বাদী হয়ে গৌরীপুর থানা মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী