এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয় হয়ে হাড়ের ভেতরে মরণব্যাধি টিউমার আক্রান্ত মেধাবী ও অসুস্থ শিক্ষার্থী তিশা আক্তারের (১৩) চিকিৎসায় সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
[৩] সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে তিশার চিকিৎসার জন্য মা আরজু আক্তারের হাতে ২০ হাজার টাকা এবং একটি হুইল চেয়ার তুলে জেলা প্রশাসক।
[৪] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শিকারপুর তালপট্টি গ্রামের হাবিবুর রহমানের কিশোরী মেয়ে মেধাবী ছাত্রী তিশা। সে জেলার সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয় হয়ে হাড়ের ভেতরে মরণব্যাধি টিউমার ধরা পড়েছে এই মেধাবী ছাত্রীর। অসুস্থ হওয়ায় শয্যাশায়ী হয়ে জীবন কাটাচ্ছে তিশা। টাকার অভাবে তিশার চিকিৎসা আটকে গেছে। কারণ তিশার এই মরণব্যাধির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১০-১২ লাখ টাকা।
[৫] তিশার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিশা পড়াশোনায় খুব মেধাবী। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই তাঁর ক্লাস রোল ছিলো তার ১। কিন্ডারগার্টেনের সব বার্ষিক পরীক্ষায় সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। ২০১৯ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পেয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে বিছানায় শুয়ে থাকা তিশার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে।
[৬] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, সবাই এগিয়ে আসলে এই মেধাবী ছাত্রীর চিকিৎসার খরচ যোগাড় করা সম্ভব। আপাতত চিকিৎসা শুরুর জন্য একটা অর্থ দিয়েছি। সামনে আরো তহবিল গঠন করে তার পরিবারের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করব।
[৭] তিশাকে সহযোগিতার জন্য একটি ব্যাংক হিসাব নম্বর খোলা হয়েছে। যার ব্যাংক হিসাব নম্বরটি হলো ২১২১৫৭০০০৯৩১৬, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা। কেউ চাইলে বিকাশের মাধ্যমেও তিশাকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারেন। তিশার মায়ের ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরটি হলো-০১৭৮০৪২০৯৩৫।