ছনি চৌধুরী: [২] হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ফুফুর কাছে দর্জির কাজ শিখতে গিয়ে ফুফার যৌন লালসার শিকার হয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক তরুণী। আর এতে সহযোগীতা করেছেন ধর্ষণের শিকার তরুণীর আপন ফুফু।
[৩] এমন অভিযোগে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শ্রীধরপুর (গুমগুমিয়া) গ্রামে। আলোচিত এ ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী দু‘জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৪] গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার খাঁনপুর গ্রামের আজির উদ্দিন (৩৫) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (২৮)। গতকাল শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
[৫] মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার খাঁনপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র আজির উদ্দিন প্রায় ০৮/০৯ বয়স পূর্বে বিয়ে করেন নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শ্রীধরপুর (গুমগুমিয়া) গ্রামের নাজমা বেগমকে। বিয়ের পর নাজমাকে তার বাড়িতে নেয়নি আজির।
[৬] নাজমার বাড়িতেই তারা সংসার শুরু করে। প্রায় ৩ মাস পূর্বে নাজমা বেগম তার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে জনৈকা তরুণীকে দর্জির কাজ শেখানোর প্রলোভন দেন। এতে সম্মতি দেন তরুণীর মা। গত ১১ অক্টোবর থেকে ওই তরুণী তার ফুফু নাজমার বাড়িতে যায় দর্জির কাজ শিখতে। প্রতিদিনের ন্যায় গত (১৪ অক্টোবর) বুধবারও দর্জির কাজ শিখতে যায় তরুণী।
[৭] ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নাজমার সহায়তায় তার স্বামী আজির উদ্দিন ওই তরুণীকে একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রতিদিনের মতো মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় অপেক্ষা করে মেয়েকে আনতে নাজমা বেগমের বাড়িতে যান ওই তরুণীর মা। তখন নাজমা বেগম ও তার স্বামী তরুণীর মাকে ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় এমনকি তরুণীকেও আটকে রাখে। এক পর্যায়ে গ্রামের মুরুব্বিদের জানিয়ে কয়েকজন লোক নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন।
[৮] এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জানান, ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :