রাশিদুল ইসলাম : [২] জাপানের কোয়োতো প্রিফেকচুরাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনর গবেষকরা গবেষণায় দেখতে পান ফ্লু ভাইরাস বড়জোড় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা টিকে থাকতে পারে মানুষের ত্বকে। অন্যান্য ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াদেরও মানুসের ত্বকে বেঁচে থাকার সময়কাল কম। কিন্তুমানুষের ত্বকে কম করেও ৯ ঘণ্টা ঘাপটি মেরে থাকতে পারে এই ভাইরাস। প্রয়োজনে তার টিকে থাকার সময়কাল বাড়িয়ে নিতেও পারে। জাপান টাইমস
[৩] বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাস ড্রপলেট ড্রপলেট যদি মানুষের ত্বকের সংস্পর্শে আসে তাহলে সেখানেই জমে বসে যায়। রীতিমতো সক্রিয় থেকে এর নাক, মুখ দিয়ে ভাইরাল স্ট্রেনের শরীরে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
[৪] গবেষকরা বলছেন, ঘন ঘন হাত ধোওয়ার কথা এজন্যে বলা হচ্ছে। স্যানিটাইজারের রাসায়নিক উপাদান ভাইরাল স্ট্রেন নষ্ট করে দিতে পারে। ৮০ শতাংশ ইথানলের সংস্পর্শে এলে ভাইরাল স্ট্রেন নষ্ট হতে পারে।
[৫] গবেষকরা বলছেন, কোভিড পজিটিভ রোগী থুতু, লালা বা ব্যবহারের জিনিসপত্র থেকে ভাইরাস ড্রপলেট বেডে বা মাটিতে ছড়াল, সেই ড্রপলেট পাঁচদিন বা তারও বেশি সময় টিকে থাকতে পারবে। এই সময়ের মধ্যেই বহুবার বিভাজিত হয়ে সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারবে সর্বত্র।
[৬] সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের এই বিভাজনের হার অন্যান্য সাধারণ ভাইরাসের থেকে বহুগুণে বেশি। মসৃণ পদার্থ বা সারফেস যেমন টেবিল, বেডের হাতল বা বেড রেল, দরজার হ্যান্ডেল ইত্যাদিতে ভাইরাল স্ট্রেনের জমে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ মসৃণ পদার্থ হলে ভাইরাসের বেঁচে থাকার সময় বা ইনকিউবেশন পিরিয়ড অনেক বেড়ে যায়।