যশোর প্রতিনিধি : [২] যশোর শহরের জেসটাওয়ারের সামনে ১৭ লাখ টাকার ডাকাতির ঘটনার প্রধান আসামি আরাফতকে ঢাকা থেকে আটক করেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত লুটকৃত ১৭ লাখ টাকার মধ্যে ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। একই সাথে ডাকাতির সাথে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টায় ডাকাতির ঘটনাস্থলে যশোর পুলিশের আয়োজিত প্রেসব্রিফিং এসব তথ্য দেন পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফ হোসেন।
[৩] শান্তির শহর যশোরে কেউ বিশৃংখলা করতে পারবে না দাবি করে পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রকাশ্যে জেসটাওয়ারের সামনে ইউসিবিএল ব্যাংকের সামনে থেকে মোটর পার্টস ও ফল ব্যবসায়ী ইমদাদুল হককে ছুরিকাঘাত করে ১৭ লাখ ডাকাতি করে। এসময় ডাকাতরা বোমা হামলা চালায়। ওই ঘটনার সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রথমে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এসসময় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার কর হয়।
[৪] গ্রেতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে তারা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করে ও ডাকাতির সাথে আরো যারা জড়িত তাদের নামও জানায়। ৪ অক্টোবর রোববার বেলা ১১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার কালনা ফেরিঘাট এলাকা থেকে সোহেল শেখ (২৩)কে আটক করা হয়। ৩ অক্টোবর ডাকাতি ঘটনার প্রধান আসামি ইয়াসিন আরাফতের মা মেহেরুনের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ৪ অক্টোবর ঢাকার আদাবর থেকে ইয়াসির আরাফতকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
[৫] আটক সোহেল যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকার তৈয়ব আলী ওরফে তবিবর রহমানের ছেলে, ইয়াসির আরাফত ওরফে রাজু মোল্যাপাড়া আমতলা এলাকার লিটন হোসেনের ছেলে। পুলিশ ডাকাতির সময় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র, মোটরসাইকেলও জব্দ করেছে।
[৬] পুলিশ সুপার আরো জানান, ডাকাতির বাকি টাকা উদ্ধারের জোর চেষ্টা চলছে। যশোরের মাটিতে সন্ত্রাসীদের কোন স্থান নেই। যশোর জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। কেউ অপরাধ করে পার পেয়ে যাবে না।
[৭] সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ) তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) গোলাম রব্বানী, যশোর কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, যশোর ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সোমেন দাস, মামলার তদন্তকারী অফিসার যশোর সদর ফাড়ির ইনচার্চ তুষার কান্তি মন্ডলসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
[৮] প্রসঙ্গত. যশোর শহরের জেসটাওয়ারের সামনে ছুরিকাঘাত করে ১৭ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে। এসময় ছিনতাইকারী বোমা ফাটিয়ে চলে গেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে যশোর কোতয়ালি মডেল থানার অদুরে এঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আহত এনামুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়া ডাক্তার তাকে ঢাকায় রেফার করেছেন। আহত এনামুল যশোর শহরের বকচর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। এরপর এনামুলের ভাই ইকবাল হোসেন থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ৮৮।সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ