রাশিদুল ইসলাম : [২] প্যারিস আদালতে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি লিবিয়ার সাবেক নেতা মোয়াম্মর গাদ্দাফির কাছ থেকে ২০১২ সালের নির্বাচনের আগে ৪২ মিলিয়ন পাউন্ড নেয়ার ব্যাপারে যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেননি। রিপাবলিক দলের নেতা ৬৫ বছরের সারকোজি বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বিচার শুরু হয়েছে গত ৫ অক্টোবর। ডেইলি মেইল
[৩] আদালতে সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয় তিনি ব্যক্তি স্বার্থেই গাদ্দাফির কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ নেন এবং তা ব্যক্তি স্বার্থ ও নির্বাচনে ব্যবহার করে সফল হননি। ফ্রান্সের আইনে নির্বাচনে ২২.৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করা না গেলেও সারকোজি খরচ করেছিলেন ৪৩ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ।
[৪] আদালত এখন সারকোজির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। কারণ তার আইনজীবী সারকোজির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো যথাযথ কারণ দেখাতে পারেনি।
[৫] পানামা ও সুইজারল্যান্ডের দুটি ব্যাংক মারফত গাদ্দাফির দেয়া ওই অর্থ পান সারকোজি। কিন্তু নির্বাচনে তা ব্যবহার করলেও তিনি জয়লাভে ব্যর্থ হন। তবে গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিষয়টি সারকোজি মৌখিকভাবে অস্বীকার করেন।
[৬] নির্বাচনের আগে সারকোজি মোয়াম্মর গাদ্দাফিকে প্যারিসে আমন্ত্রণ জানান এবং তাকে মহান বন্ধ ও ‘ব্রাদার লিডার’ বলে অভিহিত করেন।
[৭] সারকোজির বিরুদ্ধে এখন আদালত ঘুষ নেয়া, লিবিয়ার জনগণের টাকা আত্মসাৎ ও নির্বাচনে অবৈধ টাকা ব্যবহারের অভিযোগ এনে রায় দিতে যাচ্ছে। তবে সারকোজির আইনজীবীরা বলছেন ফ্রান্সের আদালতের মাধ্যমে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।