তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: [২] সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলীম মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২১/২০। রোববার তাড়াশ থানা সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন ওই পদে আবেদনকারী আরমান সরকার। তিনি উপজেলার গোন্তা গ্রামের মৃত আনোয়ার সরকারের ছেলে।
[৩] মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী এবং ২০২০-২১ অর্থ বছরে উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগের জন্য জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠ ও সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকায় গত ৪ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে ১৫ দিন পর নিরাপত্তা কর্মী পদে ৫ জন, আয়া পদে ৪ জন, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে ১৫ জন, উপাধ্যক্ষ পদে ১ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে ১ জন এবং গ্রন্থাগারিক পদে কেউ আবেদন করে নাই।
[৪] স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান নিজের স্বার্থ চরিতার্থে সুবিধা মত নিয়োগ দিতে পরিকল্পনা স্বরুপ কাজ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে অধ্যক্ষের জামাতা আলমাছ মাহমুদ অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে আবেদন করেন। অথচ তিনি ২০১৩ সাল থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এছাড়াও অধ্যক্ষ ওই সকল পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
[৫] মামলার নথি সূত্রে জানা, ১৩ মে ২০১৩ তারিখে নিম্ন সহকারী কাম কম্পিউটার পদে গোন্তা গ্রামের মৃত পান্নাউল্লা মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক কে যোগদান করান অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান। কিন্তু বেতন না হওয়ায় দীর্ঘ ৭ বছর পর আবার নতুন করে ওই পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেকেই আবেদন করলেও ওই পদে কোন পরীক্ষা ছাড়াই গত ২ আগস্ট ২০২০ তারিখে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে দ্বিতীয়বার নিয়োগ দেওয়া হয় আব্দুল মালেক কে। এ কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়ায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে আবেদনকারী আরমান সরকার বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।
[৬] মামলার বাদী আরমান সরকার বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান নিজের স্বার্থ চরিতার্থে সুবিধা জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কূট কৌশল অবলম্বন করায় আমি বাধ্য হয়ে আদালতে দারস্থ হয়েছি।
[৭] মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, এ বিষয় আমার কোন বক্তব্য নেই, যেকেউ মামলা করতেই পারে। এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসার সভাপতি মো: আবুল বাসার বলেন, নিয়োগটি আপাতত বন্ধ আছে। মামলা যেকেউ করতে পারে। হাইকোর্টও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। সম্পাদনা : আরাফাত