ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার এই মন্তব্যকে ‘চাঁদাবাজি’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রচারণা চালাচ্ছে অনেকে। তবে এমপি কামরুল বলেছেন, পাওনা টাকা চাইতেই তিনি স্থানীয় ওই ব্যবসায়ীকে ফোন দিয়েছিলেন। বার্তা২৪.কম
মিথ্যে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, এমন দাবিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় ডিশ অপারেটর আলী আহমদ এবং বিদেশে অবস্থানকারী কথিত সাংবাদিক কনক সারোয়ারের নামে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, কামরাঙ্গীরচরের খলিফাবাগ ও রসুলপুর এলাকায় লাইন সংযোগ রয়েছে ঢাকা টোটাল ক্যাবল নেটওয়ার্কের। প্রতিষ্ঠানটির পাওনা টাকা আটকে রেখেছেন ডিশ অপারেটর আলী আহমেদ।
বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলামের কাছে নালিশ দেন। এরপর আলী আহমেদকে ফোন করে কেন টাকা দিচ্ছেন না তা জানতে চান এমপি।
কথোপকথনটি রেকর্ড করে তা চাঁদাবাজি হিসেবে উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়।
মামলার আর্জিতে সূত্র ধরে ওসি বলেন, করোনাকালে সামনাসামনি বসে বিবাদ নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বলে সম্প্রতি অভিযোগটি তিনি টেলিফোনে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। এমপি সাহেব আলী আহমদকে ফোন করে অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে চান। কিন্তু আলী আহমেদ অসৎ উদ্দেশে এই কথোপকথন রেকর্ড করে কনক সারোয়ারকে সরবরাহ করেন। কনক সারোয়ার তা ইউটিউবে ভাইরাল করেন।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ডিশ অপারেটর আলী আহমদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।