রাশিদুল ইসলাম : [২] গত জুনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সূচকে ফের বড় ধরনের দরপতনে শেয়ার বাজারের সার্বিক সূচক হ্রাস পেয়েছে। ফেসবুক ৪ শতাংশ, এ্যাপেল ও মাইক্রোসফট সাতের কাছাকাছি ও অ্যামাজন ও নেটফ্লিক্স ৫ শতাংশের বেশি দরপতন ঘটে। পতন ঘটে অ্যামাজন, টেসলা এবং এনভিডিয়ার সূচকেও। এরই ধাক্কা এসে লেগেছে ভারতের সেনসেক্স সূচকে। শুক্রবার বাজার খুলতেই বিনিয়োগকারীরা হারালেন ২ লাখ ১২ হাজার কোটি রুপি। স্পুটনিক/টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] শুক্রবার সকালে সেনসেক্সে লেনদেন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সূচক পতন হয় ৬২৫.৯৩ পয়েন্ট বা ১.৬১ শতাংশ। তা নামতে নামতে দাঁড়ায় ৩৮৩৬৫.০১-এর ঘরে। অন্যদিকে নিফটি নামে ১৭০.৪০ শতাংশ বা ১.৪৮ পয়েন্ট। তা নেমে দাঁড়ায় ১১৩৫৭.০৫ এর ঘরে। সেনসেক্স ও নিফটিতে নথিভুক্ত প্রায় প্রতিটি শেয়ারেরই দাম কমে যায়। সেনসেক্সের ৩০টি শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে দাম কমেছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের। তার দাম ২.৯৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭১.৩০ রুপি। এছাড়া স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক এবং টাটা স্টিলের শেয়ারের দামও কমেছে দুই থেকে তিন শতাংশ।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ার সূচক নাসডাকের সূচক পতন ঘটে ৫ শতাংশ। অপর সূচক এস অ্যান্ড পি ফাইভ হান্ড্রেডের পতন হয়েছে ৩.৫ শতাংশ। ডো জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজের সূচক পতন হয়েছে ৮০৭.৭৭ পয়েন্ট বা ২.৭৮ শতাংশ। এস অ্যান্ড পি ফাইভ হান্ড্রেডের পতন হয়েছে ১২৫.৭৮ পয়েন্ট বা ৩.৫১ শতাংশ। তা স্থির হয়েছে ৩৪৫৫.০৬-এর ঘরে। নাসডাকের পতন হয়েছে ৫৯৮.৩৪ পয়েন্ট বা ৪.৯৬ শতাংশ। তা ১১৪৫৮.১০ এর ঘরে স্থির হয়েছে।
[৫] এছাড়া জাপানের সূচক নিক্কির পতন হয়েছে এক শতাংশ এবং হংকং-এর হ্যাং সেং-এর পতন হয়েছে ১.৮ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার সূচক এএসএক্স টু হান্ড্রেডের পতন হয়েছে ২.৮ শতাংশ।