শরীফ শাওন: [২] মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ একা নয়, আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ৯৫১ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
[৩] কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোইট প্রেফোনটাইনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানসিক সমস্যা সমাধানে অবদান রাখা, মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখা এবং তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠ প্রসারের সুযোগ দিতে কাজ করছে কানাডা সরকার।
[৪] বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দু’বার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ সমর্থন করেছি, তবে মিয়ানমার তাদের ফেরত নিচ্ছে না। মিয়ানমারের প্রতি বরাবর প্রতিবেশীর মত আচরণ করা হলেও তারা সেই জায়গা থেকে বিচ্যুত ছিল।
[৫] তিনি বলেন, সাগর থেকে ৩০৬ রোহিঙ্কাকে উদ্ধার করে ভাসানচরে রেখেছি। বাকিদেরও সেখানে স্থানান্তর করা হবে। পরিবেশ পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের পরিদর্শনে নেওয়া হবে। তবে বিভিন্ন মহল থেকে ভাসানচর নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
[৬] সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, সমস্যা সমাধানে শুরু থেকেই মিয়ানমার কালক্ষেপণ করছে। প্রধানমন্ত্রী দু’বার মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানালেও তিনি আসেননি।
[৭] সোমবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক ওয়েবিনারে দেশি-বিদেশি রাজনীতিক ও কূটনীতিকরা এসব কথা বলেন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব, বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :