রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রাম নগরীতে টানা ৪৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তিন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপি খুলশী থানা পুলিশ।
[৩] ৫ আগস্ট নগরীর সেগুন বাগান এলাকা থেকে মোটর সাইকেলসহ ধর্ষক ১) মোহাম্মদ লিটন (৩৭) পিতা মোঃ কামাল উদ্দিন সেগুনবাগান ৫ নং লেইন খলিল এর বাসা খুলশী চট্টগ্রাম এবং ২) মোঃ সোহেল রানা রাজু (২৮) পিতাঃ মোঃ শাহজাহান লালখান বাজার তুলা পুকুর পাড় শাকিল এর বাসা খুলশী চট্টগ্রামদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রান তালুকদার জানায়, তিন বান্ধবী বায়েজিদ থানার অন্তর্গত ধ্বনি পাহাড় এলাকায় বসবাস করে এবং স্থানীয় স্কুলে পড়ালেখা করে। তারা বাসায় রাগ করে একযোগে গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় টাইগার পাসের মামা ভাগ্নের মাজারে চলে আসে। রাতে টাইগারপাস নিরিবিলি হোটেলের সামনে আসলে অজ্ঞাতনামা এক লোক তাদের কাছে আসে , লোকটি তাদের সাহায্য করতে চায়, মোবাইলে সহযোগীর সাথে কথা বলে। কিছুক্ষণ পর দুজন লোক মোটরসাইকেল যোগে আসে এবং জানায় তাদের ফ্যামিলি বাসায় থাকার জায়গা আছে। মেয়েগুলো সরল বিশ্বাসে মোটরসাইকেল ও সিএনজি যোগে আগত দুইজন লোক সহ খুলশী এলাকার খুলশী আ/এ রোড ৩/এ বাড়ি নং ২২ আসে, দারোয়ানের সহযোগিতায় সারারাত ধরে চলে পালাক্রমে ধর্ষণ।
[৫] জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। আসামি মোঃ লিটন একসময় ঘটনাস্থলের খুলশীর সেই বাসায় ড্রাইভার হিসেবে নিযুক্ত ছিল। বর্তমানে উক্ত বাসার মালিক তার পুরো পরিবার নিয়ে প্রবাসী এই সুযোগে দারোয়ানের সহযোগিতায় উক্ত বাসায় সে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। আসামি রাজু পেশায় শহর এলাকার ৬ নং পরিবহনের ড্রাইভার।
[৬] খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা 'প্রনব চৌধুরী, জানান, ভোর বেলায় মেয়েগুলোকে বাসায় রেখে মোটরসাইকেল আরোহী ধর্ষক দুইজন চলে যায়। সকালবেলা মেয়েগুলো বাসায় ফিরে গেলে সমস্ত ঘটনা খুলে বললে অভিভাবক সহ থানায় এসে মামলা দায়ের করলে প্রথমে বাসার দারোয়ান মোহাম্মদ ওমর ফারুক (৪৬) পিতা-মৃত আব্দুল হামিদ আদ্রা নাঙ্গলকোট কুমিল্লা কে আটক করা হয়।
[৭] দারোয়ানের মোবাইলের কল রেকর্ড যাচাই করা হয়। কল রেকর্ড যাচাই করে দেখা যায় রাত ১১ ঘটিকার আগে একই নম্বরে দারোয়ানের সাথে অনেকবার কথোপকথন হয়েছে। উক্ত সন্দেহজনক মোবাইল নম্বর নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে দারোয়ানকে ৩০ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। সন্দেহজনক মোবাইল নম্বরটির প্রযুক্তির মাধ্যমে ছবি সংগ্রহ করে ভিকটিমদের দেখানো হয়। ভিকটিমরা ছবি দেখে ধর্ষকদের শনাক্ত করে। তারপর অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।