জাহিদ নেওয়াজ খান: ১৯৯১ সালে একটি অনাকাঙ্খিত পরিবেশে বাবুর সঙ্গে পরিচয়। ওইরকম একটা শুরুর জন্য তাকে কখনোই পছন্দ করার কথা না। কিন্তু, শফিউল বারী বাবু পরে রাজনীতিক হবেন বলেই নিজেকে ভেতরে ভেতরে বদল করছিলেন, সেই বদলে পরে তার সঙ্গে সহপাঠী থেকে বন্ধুত্ব।
প্রথমে একজন বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টারের সঙ্গে একজন ছাত্রনেতার এবং পরে একজন রিপোর্টারের সঙ্গে একজন রাজনীতিকের যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক হওয়া উচিত, সেটাই ছিল আমাদের মধ্যে। এর মধ্যে বাবুর অনেক উত্থান-পতন হয়েছে; দল ক্ষমতায় থাকার সময় সে যেমন ক্ষমতা উপভোগ করেছে, তেমনই বিরোধীদলে থাকার সময় কাটাতে হয়েছে ফেরারী জীবন। তাতে বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্কে কোন ঘাটতি হয়নি। সাংবাদিক-রাজনীতিকের সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত সবসময় সেটা ছিল।
তবে, আজ তার চলে যাওয়ায় বুকের ভেতর যে চিনচিন ব্যথা, তাতে বুঝতে পারছি, বাবুর সাথে আমাদের যে সম্পর্ক সেটা আসলে অনেক ব্যক্তিগত, যেটা রাজনৈতিক চিন্তার বিরোধ বা বিতর্কের কারণে হয়তো আগে বুঝতে পারিনি।
বাবু তুমি ভালো থেকো। তোমার স্ত্রী-সন্তানদের আল্লাহ ভালো রাখুন, সেই দোয়া করি।
তোমার কর্মী যাদের তুমি আগলে রেখেছো সবসময়, নিশ্চয়ই তারা তোমাকে স্মরণ করবে।
আমরা, তোমার বন্ধুরাও তোমাকে স্মরণে রাখবো সবসময়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :