শিরোনাম
◈ ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: সিইসি ◈ চট্টগ্রামে আটটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, কুয়েতের ফ্লাইট বাতিল ◈ শাহজালালে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল ◈ আগুন লাগার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়, স্বৈরাচারের দোসরদের চক্রান্তের অংশ: সারজিস ◈ যেখান থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর কার্গো এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ◈ ঢাকা বিমানবন্দরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে: বেবিচক ◈ কার্গো নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কয়েকদিনের মাথায় এই অগ্নিকাণ্ড! ◈ তারেক রহমা‌নের ভাবমূর্তি নির্বাচ‌নে ব্যবহার করতে চায় বিএনপি, হাওয়া ভবনের মেমোরি' বড় চ্যালেঞ্জ ◈ বন্ধুদের অসম্মান হওয়ার ভয়ে তিন লাখের ঘড়ি পরেন না ভারতীয় স্পিনার বরুন চক্রবর্তী ◈ মিরপুরে ২০৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২০, ০৮:২৭ সকাল
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২০, ০৮:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউভিআইটিস বা চোখের মধ্যস্তর প্রদাহ রোগে আক্রান্ত হলে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক : এ রোগে আক্রান্ত হলে আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হয়, চোখে ঝাপসা দেখা যায়, ব্যথা হয় এবং চোখ লাল হয়ে থাকে। ইউভিআইটিস হঠাৎ দেখা দিতে পারে। অনেক সময়ে ব্যথা ছাড়াই, শুধু চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে। তবে সাধারণত ইউভিআইটিসে চোখ লাল হয়, সেই সঙ্গে চোখ ব্যথা করে। এমন হলে এবং ব্যথা তাড়াতাড়ি না কমলে দ্রুত চোখের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

যে কারণে হয় : বিভিন্ন কারণে এ রোগ দেখা দিতে পারে। ভাইরাস, যেমন-শিঙ্গলস, মাম্পস বা হার্পিস; কোনো ছত্রাক, যেমন-হিস্টোপ্ল্যাসমোসিস; কোনো পরজীবী, যেমন-টক্সোপ্ল্যাসমোসিস; শরীরের অন্য কোনো জায়গা সম্পর্কিত কোনো অসুখ, যেমন আর্থ্রাইটিস; চোখে কোনো আঘাত লাগলে ; রোগজীবাণু, যেমন-সিফিলিস। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আসল কারণ জানা যায় না।

হতে পারে কয়েক ধরনের ইউভিআইটিস : চোখের কোন অংশে প্রদাহ হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে ইউভিআইটিস কোন ধরনের। যদি আইরিসের কাছাকাছি প্রদাহ হয়, তা হলে এটিকে বলা হয় আইরাইটিস। আইরাইটিস হঠাৎ করে হয় এবং সারতে দুই মাসও লেগে যেতে পারে। চোখের মাঝামাঝি প্রদাহ হলে, তাকে বলে সাইক্লাইটিস। সাইক্লাইটিস চোখের পেশিগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে চোখের লেন্সের ফোকাস করতে অসুবিধা হয়। এটি সারতেও কয়েক মাস লাগে। চোখের পেছনে প্রদাহ হলে এটিকে বলা হয় কোরয়ডাইটিস। কোরয়ডাইটিস আস্তে আস্তে দেখা দেয়। সারতেও সময় বেশ সময় লাগে। ইউভিআইটিস হলে গ্লুকোমা, ক্যাটার‌্যাক্ট এবং নেওভ্যাস্কুলারাইজেশনের আশঙ্কা বাড়ে। এ ছাড়া রেটিনাও এটি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

চিকিৎসা : স্টেরয়েড বা বিভিন্ন আই-ড্রপস ব্যবহারের পাশাপাশি প্রদাহ বেশি হলে ইনজেকশন বা ওষুধ খেতে হয়।

লেখক : প্রফেসর ডা. মো. নূরুল আলম, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন, বিভাগীয় প্রধান, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরা, ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়