মোস্তাফিজুর রহমান :[২] সদর উপজেলার ৭নং তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান ও গ্রাম প্রধানদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
[৩] মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ।
[৪] নাটোর সদর থানার ওসি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২৯ মে তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের সময় তার চিৎকারে অভিযুক্ত অমর কুমারকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ করলে গত ৩০ মে নাটোর সদর থানায় তাকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী।
[৫] এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গ্রামে সালিশ ডেকে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সে সময় সালিশে আসতে দেরি করায় ওই নারীর বাবাকেও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান এবং অন্যান্য গ্রাম প্রধানরা।
[৬] সংবাদ পেয়ে রাত ১১টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিন ও সোবহান আলী নামে সালিশকারীকে আটক করা হয়।
[৭] নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ধর্ষণ মামলার সালিশ করার এখতিয়ার কারো নেই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৮] অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী প্রধান বলেন, সেই নারীর অপরাধের কারণে তার দুবাই প্রবাসী স্বামী এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে চান। সেই টাকার কথাই সালিশে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান