শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২০, ০২:২৮ রাত
আপডেট : ০২ জুন, ২০২০, ০২:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাবা-মায়ের অপেক্ষায় দিন কাটছে খোরশেদের ৩ সন্তানের

আবুল বাশার নূরু: [২] নারায়ণগঞ্জে করোনাকালীন আক্রান্তদের নিয়ে নিরলস কাজ করে আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদও এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। তাদের দু’জনকে কাছে না পেয়ে সন্তানরা এখন বাবা-মায়ের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।

[৩] বর্তমানে খোরশেদের তিন সন্তান তার নানার বাড়ি ঢাকায় অবস্থান করছেন। সেখানে ছোট মামা নাঈমুল খন্দকার বাবুসহ পরিবারের অন্যরা তাদের দেখাশোনা করছেন।

[৪] খোরশেদের তিন সন্তান। এর মধ্যে বড় ছেলে ইসতিয়াক আলম খন্দকার নকিব নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র, মেজ মেয়ে তানিয়া খন্দকার নাবিলা আদর্শ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ছোট মেয়ে নুসাইবা খন্দকার খুশি একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। করোনার শুরু থেকেই বাবা করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকায় তাদের থেকে আইসোলেট থাকতেন ফলে তারা দীর্ঘদিন বাবাকে দূর থেকেই দেখতেন এবং মায়ের কাছেই থাকতেন।

[৫] আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে গত শনিবার নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন খোরশেদ। এর আগে গত ২৩ মে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। এদিকে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে গেলে শনিবার দিনগত রাতে তাকে কাঁচপুরের সাজেদা ফাউন্ডেশনে ভর্তি করান খোরশেদ। পরে সেখান থেকে ৩১ মে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে সস্ত্রীক ভর্তি হন তিনি।

[৬] এদিকে বাবাকে দূর থেকে দেখতে পেলেও এখন আর সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি মাও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এমন অবস্থায় মা-বাবার জন্য দোয়া করেই সময় কাটছে সন্তানদের। পাশাপাশি মামাসহ পরিবারের অন্যরাও তাদের সাহস দিচ্ছেন।

[৭] তাদের মামা নাঈমুল খন্দকার বাবু বলেন, আসলে বড় দু’জন তো বোঝে, তাদের আমরা সাহস দিচ্ছি তারা বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করছে। কিন্তু খুশি মাঝে মধ্যে বাবা-মায়ের জন্য বেশি বায়না করছে। বাবা-মাকে খুব বেশি মিস করছে ওরা। তবে নানা বাড়িতে সবাই তাদের বিভিন্ন কিছু দিয়ে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত ওরা ভালো ও সুস্থ আছে। আমি সবার কাছে আমার বোন ও তার স্বামীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চাইছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়