আব্দুল্লাহ মামুন : [২] লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনার পর থেকে মাদারীপুরের ১৩ যুবকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন নিখোঁজদের পরিবার। তারা জীবিত না কি মৃত তার কোনো সঠিক তথ্য মিলছে না।
[৩] এদিকে লিবিয়ায় হতাহতের ঘটনার খবর শুনে বাংলাদেশি দালাল রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের জুলহাস শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে নিখোঁজ যুবকদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় দালাল জুলহাস নিজেকে করোনা রোগী বলে পরিচয় দিলে পুলিশ তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে। নিখোঁজরা হলেন-রাজৈর উপজেলার হোসেনপুরের আবদুর রহিম, বিদ্যানন্দী গ্রামের জুয়েল হাওলাদার, একই গ্রামের মানিক হাওলাদার, টেকেরহাট এলাকার আসাদুল, মনির হোসেন ও আয়নাল মোল্লা, ইশিবপুর এলাকার সজীব ও শাহীন, সদর উপজেলার জাকির হোসেন, জুয়েল হোসেন, সৈয়দুল, ফিরোজ ও দুধখালীর শামীম।
[৪] হোসেনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা নিখোঁজ জুয়েল হাওলাদারের পরিবার বলেন, আমাদের ছেলেসহ রাজৈরের বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজনকে দালাল চক্র লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪-৫ লাখ টাকা চুক্তি করে নিয়ে যায় ৩/৪ মাস আগে। তারপর লিবিয়ার ত্রিপলী না নিয়ে বেনগাজী নামে এক গ্রামে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। এরপর ভয়েস রেকর্ডে নির্যাতনের শব্দ পাঠিয়ে আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আমরা হোসেনপুর জুলহাস শেখ নামের ওই দালালের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আসি। মানুষের কাছে শুনতে পাচ্ছি লিবিয়ায় গুলি করে অনেক বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের ছেলে বেঁচে আছে কি না তাও জানতে পারছি না। এখন পর্যন্ত ছেলের কোনো খোঁজ পাইনি।
[৫] মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশীদের হত্যার কথা শুনেছি। যাদের মধ্যে মাদারীপুরের লোকজনই বেশি। মাদারীপুরের কতজন মারা গেছে এ তথ্য আমি এখন পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় থেকে পাইনি। মন্ত্রণালয়ে আমি যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে আমাকে মাদারীপুরের কতজন মারা গেছে সে তথ্য দেবে। লাশ দ্রæত কিভাবে দেশে আনা যায় আমি সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সমকাল
আপনার মতামত লিখুন :