মনিরুল ইসলাম: [২] করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে মার্কেটে ছুটছেন রাজধানীবাসী। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, ইষ্টান প্লাস, কর্ণফুলি সুপার মার্কেট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেলো। হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ। এই হুমড়ি পড়ার দৃশ্যটা বেশি খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৌচাক ও আনারকলি মার্কেট বন্ধ থাকায় ভিড়টা পড়েছে খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে।
[৩] এদিকে, ক্রেতারা মার্কেটে ভিড় করায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও মার্কেটে ছুটে যাওয়া মানুষগুলো সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি খুব একটা মানছেন না। কেউ কেউ ছোট শিশুদের নিয়ে ভিড় ঠেলে মার্কেটে ঢুকছেন। এমনি চোখে পড়েছে খিলগাঁও মার্কেটে। শনিবার বেলা ২ টায় খিলগাঁওয়ে তালতলা সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের প্রবেশ গেটে জীবাণুনাশক ট্যানেল বসানো হয়েছে। কেউ কেউ এই ট্যানেলের ভেতর দিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করছেন। তবে অনেকেই ট্যানেলের ভেতর না ঢুকে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে ট্যানেলের পাশ দিয়ে মার্কেটের চত্বরে ঢুকে পড়ছেন। মানতে চাচ্ছে না কোন নিয়ম। মার্কেটের প্রবেশ মুখে প্রচন্ড জটলা। রাস্তায় গাড়ীর জট। মার্কেটের আঙ্গিনায়ই খিলগাঁও থানা। ফুটপাতের পাশের রাস্তায় ভ্যানগাড়ীতে হরেকরকম পসরা সাজিয়ে বসেছে হকররা। ফলে রাস্তায় ভিড় লেগে গেছে রিকসা, অটোরিকশা আর প্রাইভেট গাড়ীতে। এসব দেখার কেউ নেই। মার্কেট এলাকা পার হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে।
[৪] এভাবে ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মার্কেটটিতে মানুষ ছুটে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকে।
[৫] দেখা গেছে, মানুষের মধ্যে কোনো ধরনের সচেতনতা নেই। কেনাকাটাই যেন সব। প্রতিদিন মার্কেট করতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিড় কম থাকলেও বিকেলের দিকে এক প্রকার ঢল নামে। এতে যারা মার্কেট করতে আসছেন তারা যেমন নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, তেমনি আশপাশের বাসিন্দাদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন।
[৬] ছোট শিশু নিয়ে মার্কেটে আসা আমেনা বলেন, ঈদের পোষাকের জন্য মেয়ে কান্নাকাটি করছে। তাই ওকে নিয়ে এসেছি।
[৭] রামপুরা থেকে ঈদের পোশাক কিনতে আসা ফারিয়া বলেন, আমি ইডেনের ছাত্রী। মার্কেট করি গাউছিয়া থেকে। নিউমার্কেট, গাউছিয়া বন্ধ। তাই এখানে এসেছি।
[৮] করোনাভাইরাসের ভয় লাগে না? এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, ঈদ তো চলেই এসেছে। কাল না হয় পরশু ঈদ। তাই এসেছি। করোনার ভয়ে ঘরে বন্দি হয়ে থাকলে তো জীবন চলবে না। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট আসা শেরশাহসূরি রোডের রিফাত বলেন, হেন্জি। টুপি কিনতে আসলাম। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ঈদের নামাজ পড়তে টুপি লাগবে তাই আসা।
আপনার মতামত লিখুন :