মৌরী সিদ্দিকা : [২] ২০০৩ সালে হংকংয়ে সার্স ভাইরাসের কণা পানির মাধ্যমেই সংক্রমিত হয়েছিলো। ১৩ বছর আগের ঘটনা মনে করে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা।
[৩] সারা বিশ্বে আতঙ্কের অপর নাম নোভেল করোনাভাইরাস। বায়ুর মাধ্যমেও ভেসে বেড়াতে পারে কোভিড-১৯। কয়েক দিন আগে এমনই আশঙ্কার খবর মিলেছিলো। এ আশঙ্কা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে গবেষকদের দাবি, পানির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস।
[৪] সম্প্রতি পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইঝোউ লি ও ইতালির সালের্নো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিনসেঞ্জো নাদিওর মতে, পানিচক্র এবং বর্জ্যপদার্থ যুক্ত পানির পরিশোধনের সময় আদৌ পানিকে করোনামুক্ত করা যায় কিনা সে সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন।
[৫] এর আগে সার্স ভাইরাস খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হয়ে বায়ুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিলো। গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে পানির নল থেকে ভাইরাসের খণ্ডযুক্ত পানিকণার মাধ্যমে হংকংয়ে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলো। ২০০৩ সালেই সার্স ভাইরাসের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, জীবানুমক্তকরণের অভাবে ভাইরাসগুলি একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁচে থাকে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।
[৬] যদিও এখনও পর্যন্ত পানির মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা পানির মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ হতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরি। ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, উন্নত দেশগুলি পানিকে ভাইরাস মুক্ত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। উন্নয়শীল দেশগুলিরও সেই পথেই হাঁটা উচিত।
[৭] গবেষকরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে রসায়নবিদ ও অনুজীববিদদের যৌথ ভাবে গবেষণা করা উচিত। কারণ যদি পানির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে বিপদে পড়বেন গ্রামে ও শহরে বসবাসকারী অসংখ্য দরিদ্র মানুষ। সূত্র : জি২৪ঘণ্টা