শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:১০ সকাল
আপডেট : ০৬ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় গোলাম মোস্তফা (৬৫) নামের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত

ইস্রাফিল হাওলাদার:[২] কেরাণীগঞ্জে প্রথম রোগী সনাক্ত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. মীর মোবারক হোসেন ও নির্বাহী অফিসার অমিত দেব নাথ। ইত্তেফাক

[৩] (৫ এপ্রিল) রোববার গোলাম মোস্তফা ঠাণ্ডা জ্বরে ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করাতে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মোস্তফাকে পরীক্ষা করে তার দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পায়। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ইত্তেফাক

[৪] কেরাণীগঞ্জে প্রথম এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় জিঞ্জিরা ইউনিয়নের মডেল টাউন  এলাকার ১৮২ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারও লক ডাউন করা হয়েছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

[৫]  আক্রান্ত ব্যক্তি রোববার ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। সেখান থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হলে, পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। পরে আইইডিসিআরের একটি দল এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

[৬] উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি ডায়াবেটিসের রোগী। এছাড়া তার আরও কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসন থেকে ওই ব্যক্তির আবাসিক এলাকা ও দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার লক ডাউনের সিদ্ধান্ত হয়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

[৭] উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল ইসলাম সোহেল বলেন, ওই ব্যক্তি উপজেলার জিনজিরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিয়েছেন। ফলে ওই দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী-কর্মকর্তারা ওই রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ওই দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার লক ডাউন করে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

[৮] ওই এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারসহ মডেল টাউনের পুরো এলাকা লক ডাউন করে মোট ১৮২টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকাটিতে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যানার ও লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান সহকারী কমিশনার। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

[৯] কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম জানায় কেরানীগঞ্জে এই প্রথম কোন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হলো। তিনি জানায় করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পরতে না পারে সে জন্য ওই বাড়িকে আলাদা করে এলাকাটিকে লকডাউন করেছে। সূত্র: ইত্তেফাক

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়