শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানুষকে ঘরে রাখতে প্রতিটা পাড়া-মহল্লায় দরিদ্র মানুষের খাবার রান্না ও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিলো

ডা. ইমরান এইচ সরকার : বিপদ কখনো একা আসে না। করোনাভাইরাস নিজেই শুধু বিপদ নয়। সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছেন, পারছেন না। হাসপাতালের ডাক্তার নার্সদের পিপিই নেই। তারা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্স ডাকছেন, আসছে না। করোনাভাইরাসে যদি আক্রান্ত হয়ে থাকে রোগী, সেই ভয়ে। তার উপযুক্ত নিরাপত্তা নেই। প্রতিবেশীরা সাহায্য করতে আসছে না। রোগী অসহায়ের মতো মারা যাচ্ছেন। একজন রোগী রাস্তায় পড়েছিলেন, কেউ সাহায্য করতে যাচ্ছেন না, রোগীকে ধরার সাহস পাচ্ছেন না। অনেক পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাগুলো কিন্তু আরও ঘটবে। প্রস্তুতি মানে সার্বিক প্রস্তুতি। এই অবস্থায় প্রতিটা ইউনিয়ন উপজেলায় ক্রাইসিস টিম থাকার কথা ছিলো। অসুস্থ রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য উপযুক্ত প্রোটেকশনসহ মেডিকেল টিম থাকা উচিত ছিলো। সেটা কোভিড-১৯-এর রোগী বা সাধারণ নিউমোনিয়া, সর্দিজ্বর যাই হোক। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া যেহেতু করোনাভাইরাসের একটা লক্ষণ, এ ধরনের উপসর্গ পাওয়া গেলেই দ্রুততম সময়ে টেস্টের ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিলো। এতোদিন সময়ে প্রতিটা জেলায় বা অন্তত কয়েকটা জেলা মিলে একটা ব্লকে টেস্টের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারা উচিত ছিলো। সারাদেশে স্কুল, কলেজ, উপাসনালয়, স্টেডিয়াম ইত্যাদি জায়গাকে কেন্দ্র করে ক্রাইসিস সেন্টার থাকা উচিত ছিলো, দুর্যোগে যেমন থাকে।
মানুষকে ঘরে রাখতে প্রতিটা পাড়া-মহল্লায় দরিদ্র মানুষের খাবার রান্না ও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিলো। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক বছরের খাওয়ার রিজার্ভ আছে। স্বচ্ছল মানুষের বাজারের ব্যবস্থা করা উচিত ছিলো যেন বাইরে যেতে না হয়। সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং প্রয়োজনে সাধারণ জনগণ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে এসব কাজের উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে টিমগুলো তৈরি করা উচিত ছিলো। ফেসবুক-টিভির আওতার বাইরে বিরাট জনগোষ্ঠী রয়ে গেছে, যারা এখনো ভালো করে ব্যাপারটা বুঝতেই পারেননি। তাদের বোঝানোর জন্য মাইকিং আর স্বেচ্ছাসেবক টিম থাকার দরকার ছিলো দেশজুড়ে। আপনাদের প্রস্তুতি রইলো শুধু টিভির পর্দায়। মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে। মানুষ ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করছে। আপনারা এককথা বলেই যাচ্ছেন, বলেই যাচ্ছেন। এখনো সময় আছে যতো সময় গড়াবে, ততো বিপদ বাড়বে। প্রস্তুতি নিন, মানুষকে আশ্বস্ত করুন। চীনকে দেখেছেন, ইতালি দেখছেন, স্পেন, আমেরিকা দেখছেন। এখনো সময় আছে শিক্ষা নিন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়