খান আসাদ: ডাক্তারি বিদ্যা অর্জনরত ভ্রাতুষ্পুত্রী স্কাইপিতে জানালো, ‘মনে ভয় থাকলে তা এন্টিবডি তৈরিতে বাধা দেয়’। মানে করোনা উপসর্গ দেখা দিলেও মনে সাহস রাখা দরকার। ‘কাশি দিয়েছি কয়েকবার’, তাকে জানানোর পর এই প্রেসক্রিপশন। বিশ্বাস করলাম, কারণ আসলেই তো ভাইরাস ঠেকানোর চেষ্টা করা ছাড়া এখন আর কিই বা করতে পারি। ভয় পেলে আরও ক্ষতি। ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ডি’ ট্যাবলেট (জার্মান ইৎধঁংবঃধনষবঃঃবহ) কিনেছি। লেবুর শরবত খাচ্ছি প্রতিদিন সকালে। চেষ্টা করছি বাইরে না বেরুতে, কিন্তু বার্লিনে রাস্তায়/পার্কে না হাঁটা হলে জীবন অসম্পূর্ণ মনে হয়। বার্লিনে চার জায়গায় করোনার টেস্ট করা যায়। কাছের ক্লিনিকের ঠিকানা ও ম্যাপ দেখে মানসিক প্রস্ততি নিয়ে রাখছি। এখন জানি সমস্যা হলে কোথায় যেতে হবে।
দুনিয়ার রাজনৈতিক সরকার ও সামাজিক নেতৃত্ব কী ভয়ংকর অসংবেদনশীল ও অযোগ্য, তা করোনার সংকট বেশ ভালোভাবে দেখিয়েছে। মানুষ রাগ করতেও পারছে না, ফলে বিষাদ নামক আরেক মানসিক মহামারী দেখছি। বিষাদগ্রস্ত হয়ে কিংবা ভয় পেয়ে লাভ নেই। সমাজের এন্টিবডির ক্ষেত্রেও এই কথাটি সত্য। ব্যবস্থা বদলের কাজটি করতে হলে সাহসের দরকার। সাহস মানে লুটেরাকে লুটেরা, চোরকে চোর এবং অযোগ্যকে অযোগ্য বলার সাহস। সমাজের সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে হলে ভয়ের সংস্কৃতি বদলাতে হবে সবার আগে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :