নিজস্ব প্রতিবেদক,পটুয়াখালী : [২] করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সকল হোটেলে মোটেল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাতিল করা হয়েছে সকল ধরনের বুকিং। আজ রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
[৩] এদিকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের মাইকিং করে গন্তব্যে পাঠানো শুরু করেছে টুরিষ্ট পুলিশ। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আজ বুধবার সন্ধ্যায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে ম্যাগাফোনের মাধ্যমে মাইকিং করে পর্যটকদের ফিরে যেতে বলা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল পর্যটকদের আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাড়ী ফিরে যেতে বলা হয়েছে। হোটেল মোটেল গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেলে কক্ষ বুকিং না রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। আজ থেকে সৈকতের সকল দোকানপাট সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল লঞ্চ মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে পটুয়াখালীতে বাড়ি নয় এমন কোন যাত্রী থাকলে তাদের ঐ লঞ্চে করেই ঢাকার ফেরত পাঠােেত।
[৪] অপরদিকে আজ সকালে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরী সভা জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সিভিল সার্জন জানান,জেলায় মোট এগারোশ জন বিদেশ ফেরতের মধ্যে ২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাকী যারা রয়েছেন তাদের খুঁজে বের করে পরীক্সা নিরিক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া ৫০ শয্যার একটি আইসোলিশন ইউনিট প্রস্তত রাখা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসক ঐ আইসোলিশন ইউনিট পরিদর্শন করেন।
[৫] জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান,একজন মানুষের অসেচতনতার জন্য হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুকির মধ্যে ফেলে দিতে আমরা পারি না। তাই সর্বোচ্চ সর্তকতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভ্রমন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লঞ্চের যারা যাত্রী তাদের মধ্যে যদি কেউ পর্যটক হয়ে থাকেন তাহলে তাকে ঐ লঞ্চেই ফেরত পাঠানো হবে। আজ একজনকে হোমকোয়ারেন্টাইনের নিয়ম না মানায় জরিমানা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো কঠোর অস্থানে যাবে প্রশাসন।