যুগান্তর : [২] ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত হয়ে যেসব সেবক-সেবিকা ও চিকিৎসক মারা গেছেন তারা ‘শহীদ’ হিসেবে গণ্য হবেন।
মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এক চিঠিতে এ কথা জানান। খবর ওয়াশিংটন টাইমসের
[৩] সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মঙ্গলবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রী সাঈদ নামাকি সর্বোচ্চ নেতার কাছে এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানোর পর তাতে সম্মতি দেন খামেনেয়ী।
[৪] আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে ডাক্তার ও নার্সসহ মেডিক্যাল টিমের যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদেরকে ‘দায়িত্ব পালনকারী শহীদ’ হিসেবে মর্যাদা দেয়া হবে।
ইরানের আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ মর্যাদাপ্রাপ্তদের সব সময় বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় এবং তাদের পরিবারের জীবিত সদস্যরা বিশেষ সম্মান ও সুযোগ-সুবিধা পান।
[৫] প্রসঙ্গত, চীনের পর মধ্যপ্রাচের দেশগুলোর মধ্যে ইরানে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। মঙ্গলবারের ৫৪ জনসহ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইরানে মারা গেছে ২৯১ জন। মধ্যপ্রাচ্যে করোনায় আক্রান্ত ৮ হাজার ৬০০ জনের মধ্যে ইরানেই সবচেয়ে বেশি।
ইরানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ফার্সি নববর্ষের ভাষণ বাতিল করা হয়েছে।
[৬] প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সংক্রমণ মোকাবেলায় চরম হিমশিম খাচ্ছে ইরান। আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টাইনে আছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। এমনকি দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ঘোষণায় দেশটির উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী আলী রেজা রাইসি বলেন, ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ সংসদ সদস্য। রয়েছেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাও। মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
[৭] এসব আক্রান্তদের সেবা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স মারা গেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আক্রান্ত দুই হাজার ৭৩১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এরই মধ্যে এমন আতঙ্কগ্রস্ত পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ইরান সরকার অস্থায়ীভাবে ৭০ হাজার কারাবন্দিকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :