শরীফা খাতুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৩৩৫কোটি ৩৫ লাখ টাকার এই সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এই সংশোধিত প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
অনুমোদিত এ প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোসমূহের মধ্যে রয়েছে ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে দশ হাজার বর্গমিটার আয়তনের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন ভবন এবং অডিটরিয়াম নির্মাণ, ৭০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ষোল হাজার সাতশ পঞ্চাশ বর্গমিটার আয়তনের চতুর্থ একাডেমিক ভবন নির্মাণ (১০ তলা ভিতে ১০ তলা), ৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে সাত হাজার তিনশ সত্তর বর্গমিটার আয়তনের শিক্ষক, কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণ (১১ তলা ভিতে ১১ তলা), ২৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে তিন হাজার সাতানব্বই বর্গমিটার আয়তনের জিমনেসিয়াম নির্মাণ, ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে আইইআর ভবন (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এবং ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চসহ) নির্মাণ, ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে মার্বেল পাথর দ্বারা কেন্দ্রীয় মসজিদের ফ্লোর নির্মাণ ও বিশেষ টাইপের গ্রিল তৈরি, বৃহৎ ও সুউচ্চ ভবনসমূহের ছাদে ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে সোলার প্যানেল স্থাপন। ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় বিদ্যুতের অভ্যন্তরীণ সাব-স্টেশন নির্মাণ। ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর এবং দৃষ্টিনন্দন প্রধান ফটক নির্মাণ।
১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গত ৩০ বছরে এটাই সবচেয়ে বড় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প। তবে মূল প্রকল্পে তখন যে আয়তন ধরা ছিলো তা ভবিষ্যৎ চাহিদার তুলনায় কম। ফলে চাহিদা পূরণ হতো না। এই সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় আয়তন বৃদ্ধি পাবে যা সময়ের চাহিদা পূরণ করবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এযাবতকালের সবচেয়ে বড় অংকের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান তার নিজের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :