অনলাইন রিপোর্ট: দেশ উন্নত হয়েছে, এর সুফল আমরা পাচ্ছি। কিন্তু অন্যদিকে বৈষম্যও বেড়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় দেখলে বোঝা যায়, দেশের মানুষ আজ নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়তে মানুষে মানুষে বিভাজন ভুলে মৌলিক বিষয়ে একমত হয়ে এ দেশকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।যুগান্তর
সোমবার সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘বিজয়: ইতিবৃত্ত ও মর্মার্থ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলা একাডেমির সভাপতি এ অধ্যাপক বলেন, ১৯৭১ সালে যেমন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় হয়েছে, এবার মানুষের মুক্তির যুদ্ধে আমাদের বিজয় হতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
প্রধান বক্তা হিসেবে মঞ্চে উঠে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হলেও দেশের সর্বাত্মক বিজয় এখনও অধরা। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছিল, তবে ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে মুক্তির যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যা আজও চলমান। সর্বাত্মক বিজয় পেতে আরও অনেক যুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে বিদেশি শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হলেও এখনও উপনিবেশ রয়ে গেছে। এখনও দেশে মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো না। ৭১’র ১৬ ডিসেম্বর সাময়িক বিজয়ের দিন। সে সময় যুদ্ধের সেক্টর ছিল ১১টি, কিন্তু আজ তা অগণিত। মুক্তিযুদ্ধে শত্রু ছিল চিহ্নিত, কিন্তু এখন ঘরে-বাইরে শত্রু।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ১৯৭১ সালে ৮ মাস ২১ দিন যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু বাস্তবে দেশ স্বাধীন নয়, এর পরতে পরতে উপনিবেশ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাকশালের মধ্যে বিপ্লব তৈরি হয়েছিল। বাকশালের মাত্র ২৩২ দিনেই দেশের সব সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিলো ৭.৮ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :