ফরহাদ আমিন,টেকনাফ(কক্সবাজার) : মিয়ানমারের সমুদ্রসীমানায় ঢুকে পড়ায় ১৭জন বাংলাদেশী জেলেকে ফিশিং বোটসহ বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছেন মিয়ানমার।
শুক্রবার রাত নয়টার দিকে বঙ্গোপসাগরে উভয় দেশের কতৃপক্ষের মাধ্যমে জেলেদের হস্তান্তর করা হয়েছে।এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টহল জাহাজ সিজিএস তাজউদ্দিনের কমান্ডার (বিএন)এসএম মিজবাহ উদ্দিন(পিএসসি)।
উদ্ধার জেলেরা হলেন-ভোলার কুলাকুপার এলাকার মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে মো.আল আমিন,একই জেলার চারখলিফা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম,উত্তর মাদ্রাজ এলাকার নুর মোহাম্মদ পাটুয়ারি ছেলে মো. জসিম,পশ্চিম এওয়াজ পুর এলাকার মৃত খুরশেদ আলম সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ কামাল নুরবাদ এলাকার মৃত আবুল লতিফ ব্যাপারির ছেলে আবুল কালাম, নীল কমল এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে বেলাল হোসেন,একই এলাকার মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে মোতাহার মিয়া,চূনাবাদ এলাকার মো. মিলনের ছেলে জাকির হোসেন, চট্টগ্রামের লাউরখীল এলাকার মৃত সুলেমানের ছেলে মো.জসিম একই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ শাহ আলম,ভোলার পশ্চিম মাদ্রাজ এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো.নুরুল ইসলাম,খন্দকার বাড়ির আব্দুল্লাহর ছেলে আবুল কালাম, মকবুল আহাম্মদের ছেলে মো.নেছার, চর নুরুল আমিন এলাকার মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে মো.ফারুক,একই এলাকার আব্দুল বারেক চৌকিদারের ছেলে মো.সেলিম,মুন্সিগঞ্জের চাষি বালিগুয়ান এলাকার মৃত জহির আলী দেওয়ানের ছেলে আবু সাইয়েদ, ঝালকাটির সুক্তাঘর এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নুর জ্জামান।
এফবি গোলতাজ ফিশিং বোটের মাঝি মোঃ ফারুক বলেন,গত শনিবার রাতে বের হওয়ার পর দুইদিন সাগরে মাছ ধরি। মাছ ধরা অবস্থায় বোটের ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে যায়। ফিশিং বোটটি বিকল হয়ে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়ে সেদেশের নৌবাহিনী আমাদেরকে আটক করে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের সিটওয়ের ক্যনসুল্যেট হেড অব মিশন মোঃ বারিকুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশী একটি ফিশিং বোটট ইঞ্জিন বিকল হয়ে মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়লে টহলরত সেদেশের নৌবাহিনী তাদের আটক করে।ফিশিং বোটটি জব্দ করে। খবর পেয়ে দুতাবাসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর তাজউদ্দিন জাহাজের সম্বনয়ে আটক জেলেদর ফিশিং বোটসহ ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর তাজউদ্দিন জাহাজের কমান্ডার এসএম মিজবাহ উদ্দিন বলেন, এফবি গোলতাজ-৪ (এফ-৬০৭৯) নামে বাংলাদেশী একটি ফিশিং ট্রলার গত ২৯ নভেম্বর মাছ ধরার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের চাক্তাইখাল থেকে গভীর বঙ্গোপসাগরে যাত্রা করে।যাত্রার দুইদিন পর ৩০নভেম্বর ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।পরবর্তী ট্রলারটি মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়লে দেশটির নৌ-বাহিনীর জাহাজ (ইন লে) কর্তৃক বাংলাদেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ দিকে মিয়ানমারের জলসীমানায় বঙ্গোপসাগর তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারের খবর পেয়ে সিট্যুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে অবহিত করেন। জোনাল কমান্ডার পূর্ব জোন কোস্টগার্ডের সদর হতে তথ্য প্রাপ্তির সাপেক্ষে বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে বাংলাদেশের জলসীমানায় টহলরত কোস্টগার্ড জাহাজ তাজউদ্দিনকে ট্রলারটি নিরাপদে বাংলাদেশে জলসীমানায় আনার নির্দেশনা প্রদান করেন।পরবর্তীতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ তাজউদ্দিন বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তজার্তিক জলসীমার শূণ্য রেখার নিকটবর্তী স্থানে দ্রুত গতিতে পৌছে ১৭ জেলেসহ বাংলাদেশী ফিশিং ট্রলার গোলতাজ-৪ (এফ-৬০৭৯)কে উদ্ধার করে বাংলাদেশ জলসীমার অভ্যন্তরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটে নিরাপদে নিয়ে আসেন।এতে ১৭জন বাংলাদেশী জেলেকে ফেরত এনেছেন। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে সেন্টমার্টিন পুুুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হবে। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার