সাইদুর রহমান : আচ্ছা, পেঁয়াজ ছাড়া কি তরকারি রান্না করা যায় না? পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা তরকারি কি খাওয়া যায় না? আমরা জাতি হিসেবে এতো কিউট কেন ভাই। বাঙালিরা পারেন না এমন কি কিছু সত্যি আছে? একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে কি আমরা আমাদের মনোবলের উপর নির্ভর করে পরাজিত করি নাই? খাবো না পেঁয়াজ যতোদিন না পেঁয়াজ এ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি। খুব বেশি সমস্যা হবে কি? ছেরে দেন না।
আর একটা যুদ্ধ শুরু করুন নিজ থেকে। আপনার বাড়ির পাশে যে ফাঁকা যায়গাটা আছে সেখানে, বাড়ির ছাদে পেঁয়াজ চাষ করুন, বাড়ির নিজের পরিবারের জন্য। দেখেন রেভুলেশন কাকে বলে। আর আমি বুঝি না উপজেলা কৃষি অফিসের কাজ কি? কেন ভাই পারেন না আপনার উপজেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিস যেন যথেষ্ট পরিমাণে চাষাবাদ হয় তা নিশ্চিত করা, যাতে অন্য কথাও থেকে কোন কিছু না আনার লাগে।
এটা তো একটা চুটকির কাজ আপনাদের হাতে। প্রয়োজনে ডিসি অফিসে/মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন বীজ ফ্রি নিয়ে আসেন সার ফ্রি দেন, উপজেলায় যে ব্যাংকের শাখাগুলো আছ তাদের সঙ্গে কথা বলেন স্বল্পসুদে কৃষকদের লোনের ব্যবস্থা করে দেন। এগুলোর জন্য বড় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নেই। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা আর আন্তরিকতা। আর আমরা সব কিছুতেই সরকারকে দোষ না দিয়ে নিজের দায়িত্বটুকুন পালন করি তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কেন আমি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনবো যখন পেঁয়াজেয়ের দাম চড়া, আমি তো নিজেই পারি আমার পরিবারের প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ উৎপাদন করতে, সেটা গ্রামের বাড়িতেই হোক আর বহুতল ভবনেও হোক প্রয়োজন শুধু নিজস্ব সদিচ্ছার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :