কেএম নাহিদ : বাসচাপা দিয়ে বাবাকে হত্যার পর একই পরিবহনের আরেকটি বাস ছেলেকে চাপা দিয়ে আহত করার ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ঘটনা দু’টি আদৌ দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড বিষয়টি তদন্তের দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সময় টিভি১৪:০০
বুধবার রাজধানীর শ্যামলীতে ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন আহত ইয়াসির আলভীকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর উত্তরার তুরাগে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় সংগীত পরিচালক পারভেজ রব নিহত হন। দু’দিন পর ৭ সেপ্টেম্বর বাবার কুলখানির বাজার করতে যাওয়ার সময় বন্ধুসহ একই পরিবহনের আরেকটি বাসে দুর্ঘটনার শিকার হন আলভী। এতে বন্ধু ছোটন ঘটনাস্থলে মারা যান এবং আলভী ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংগীত পরিচালক পারভেজ রবকে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হলো। এরপর একই পরিবহনের আরেকটি বাসের চাপায় পারভেজ রবের ছেলে আহত হলেন। ঘটনা দু’টি বিশেষ করে পরের ঘটনাটি আদৌ দুর্ঘটনা কিনা তদন্তের দাবি রাখে। পুলিশ এ ঘটনা দু’টির তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
একের পর এক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত আমাদের দেশের কিছু কিছু ড্রাইভার বিশেষ করে বাস ও ট্রাকের ড্রাইভার খুবই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত চাপা দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই সবগুলো দুর্ঘটনা নয়, অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড। তারা দুষ্কৃতকারী এবং দুর্বৃত্ত।
কতিপয় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, ট্রাফিক আইন মানে না। বেপরোয়া এসব চালকদের অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সব শ্রমিক-মালিক সমিতিগুলো জনসাধারণ এবং প্রশাসন ঐক্যবদ্ধভাবে উদ্যোগ নিলে সড়কের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
পারভেজ রবকে চাপা দেওয়া বাসের রুট পারমিট ছিল না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুট পারমিট ছাড়া কীভাবে গাড়ি রাস্তায় বের হলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে প্রশাসনের কেউ জড়িত হলেও তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সব সময় সড়কে শৃঙ্খলার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কবে নাগাদ এটি সম্ভব হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব দেশেই সড়ক দুর্ঘটনা হয়। কিন্তু এর ব্যাপকতা এবং অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ১১১টি সুপারিশ করা হয়েছে। আশা করি, এগুলো বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন ও রাশিদ