নুর নাহার : বাংলাদেশের একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠান বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বেসরকারি গবেষনা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বলছে, রাজস্ব ঘাটতি এবং ব্যাংকিং খাতে সংকটের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতি হুমকির মুখে পড়েছে। বিবিসি বাংলা- ৭.৩০
সিডিপির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, যদি আমরা সামস্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখি তাহলে দেখবো এই যে সামস্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি শক্তি ছিলো সেই জায়গায় একটি ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি অর্থবছর যেটা শেষ হতে চলেছে জুনের শেষে। সেখানে কয়েকটি জিনিস লক্ষ্যনীয়।
প্রথমত হচ্ছে সম্পদ আহরণ কিংবা সঞ্চালণে ঘাটতি রয়েছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও স্থবিরতা রয়েছে। দ্বিতীয় বৈশিষ্ট হচ্ছে বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনের ভারসাম্য। তৃতীয় হচ্ছে, ব্যাংকিং খাতের বিশৃংখলা। সেখানে খেলাপি ঋণের গতি বেড়েই চলেছে এবং সরকারি ও রাজনৈতিক পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি ছিলো, খেলাপি ঋণের হার কমানো হবে। সেটাও রাখা যাচ্ছে না।
দুই ধরণের পরিকল্পনা রয়েছে। একটি হচ্ছে স্বল্পমেয়াদি অন্যটি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি। এমন একটি পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে আছি যেখানে সংস্কারের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
উচ্চ প্রবৃদ্ধি মানেই অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রে এটির ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে তা নয়। এটি তখনই অর্থপূর্ণ হবে যখন অর্থনীতির সুফল সকলের কাছে পৌঁছার। এখানে বৈষম্য বেড়েই চলেছে। বৈষম্য হচ্ছে একটি সুচক আর এই সুচককে বজায় রাখার জন্য অন্যান্য সূচকগুলো রয়েছে সেখানের ক্ষতগুলো সারিয়ে তুলতে হবে। তা নাহলে উন্নয়ন টেকসই হবে না।
১০ বছরের মধ্যে এই বার সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা অর্থনীতির। প্রতি বছরে কমপক্ষে ৩ বার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতি প্রকৃতি আলোচনা করে থাকি। এবং প্রতি বছরেই দুর্বলতাগুলো বলে থাকি।
আমরা যে বিষয়গুলো তুলে ধরি সবগুলোই সরকারি তথ্য। কাজেই এইখানে কোনো সন্দেহের কারণ নেই বা আমাদের গবেষনা প্রতিবেদণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন