শিরোনাম
◈ পিআর বিতর্ক ও রাজনৈতিক জোট: নির্বাচনের রোডম্যাপ দৃঢ় ◈ জ্বর হলেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করানোর পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ◈ পে স্কেল কাঠামোর বাইরে রয়েছেন যারা ◈ শীঘ্রই ফিরবেন শেখ হাসিনা, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফিরবেন তারেক রহমান, কে আগে ফিরবেন: গোলাম মাওলা রনি ◈ এবার বিদেশি ইউটিউবার মোহাম্মাদপুরের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরলো (ভিডিও) ◈ আফগা‌নিস্তান‌কে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়‌লো বাংলা‌দেশ ◈ প্রস্তাবিত রোডম্যাপ: গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রকাশ ◈ জনপ্রশাসনে বড় পরিবর্তন: উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত নতুন কাঠামো ◈ বিএনপির কাছে শতাধিক আসন চায় মিত্র দলগুলো, চলছে দর-কষাকষি ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৯ কর্মকর্তার তথ্য চেয়েছে দুদক

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০১৯, ১১:১৭ দুপুর
আপডেট : ১৩ মে, ২০১৯, ১১:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাপের মুখের নতিস্বীকার, ১১ জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

মাকসুদা লিপি: দাবিটা অনেকদিন ধরেই উঠছিল। শেষপর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে পাকিস্তান। এবার ইমরান খান সরকার ১১টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের দুই মূল সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদ ও মাসুদ আজহারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ওই ১১টি সংগঠনের। সংবাদ প্রতিদিন

পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের জামাত-উদ-দাওয়া ও দাতব্য সংস্থা ফলাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশন ছাড়াও মাসুদ আজহারের জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে ওই ১১টি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে। মাসুদ ও হাফিজের সঙ্গে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্পর্ক থাকার জন্য সেগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয় মাসুদের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদকেও নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এর আগে হাফিজের আরও দুই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়। এই জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। তারা আশাপ্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতে পাকিস্তান দেশের সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে ইমরান সরকার।

উল্লেখ্য, সৃষ্টিকর্তাকেই ধ্বংস করেছিল ‘দানব’ ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন। ঠিক একইভাবে পাকিস্তানকে রক্তাক্ত করছে আইএসআইয়ের তৈরি জেহাদিরা। রোববার পাকিস্তানের একটি পাঁচতারা হোটেলে হামলা চালিয়ে পাঁচ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর আগে গত বুধবার লাহোরে একটি সুফি ধর্মস্থলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ছ’জনের। আহত হন অনেকেই। ২০১৭ সালে সিন্ধ প্রদেশের বিখ্যাত লাল শাহবাজ কলন্দর নামের সুফি দরগায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮০ জন নিরীহ মানুষ। তারপরই অভিযানে প্রায় ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করেছিল পাক সেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতকে সন্ত্রাসে জর্জরিত করতে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে তৈরি করেছিল পাকিস্তান, তারাই এখন পাক সেনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়