তরিকুল সুমন : দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি একটি গভার্ণেন্স ইস্যু এবং এর নিয়ন্ত্রণ করাও অত্যন্ত জটিল। দেশের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনীতিবিদ, আমলা, সুশীল সমাজ, মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী, এনজিও, ব্যবসায়ীসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।
রোববার দুদক প্রধান কার্যালয়ে ইউএসএআইডি এর কনসালটেন্ট জনাথন রোজ, ডেভিড টিমবার এবং গভার্নেন্স এডভাইজর রুমানা আমিন অর্চি দুর্নীতি দমন কমিশনের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ-এর সঙ্গে মতবিনিময়কাল এসব কথা বলেন তিনি।
দুদক চেয়্রাম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের নিজস্ব সক্ষমতা এবং ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই বর্তমান কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং কর্মপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তির ভূমিকাকে গৌণ করে পদ্ধতিগত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বর্তমান কমিশন সবচেয়ে বড় সংস্কার করেছে অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গ্রেডিং সিস্টেম প্রবর্তন করে। এখন কমিশনের যে কেউ ইচ্ছা করলেই নির্ধারিত নম্বরের কম পেলে, অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করতে পারবেন না। একইভাবে সম্পদ পুনরুদ্ধার ইউনিট, গোয়েন্দা ইউনিট, সশস্ত্র ইউনিট , হাজতখানা ইত্যাদি সৃষ্টি করে কমিশনের প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কমিশনের তদন্তের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করার জন্য কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কমিশনের মামলায় সাজার হার বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি উন্নীত হয়েছে। তবে তদন্তের মান যদি বিশ^মানের হতো তাহলে হয়তো সাজার হার শতভাগে উন্নীত হতো। তাই কমিশন নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াকে পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে ঘুষ, দুর্নীতি, দীঘসূত্রিতা এবং জনহয়রানি লাঘবের লক্ষ্যে কমিশন ২৮টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেবাখাতে কমিশন প্রণীত বেশকিছু সুপারিশ সরকার কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হয়েছে।বিদ্যমান বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া শুধু মামলা-মোকদ্দমা করে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাবে না।