শিরোনাম
◈ নির্বাচন-গণভোট একই দিনে: ইসিকে এমপাওয়ার করতে আসছে নতুন আইন ◈ বাণিজ্য, শিক্ষা, সংযোগে নতুন উদ্যোগ—ভুটান প্রধানমন্ত্রীর সফরে উভয় দেশের সন্তোষ ◈ স্থলপথে গত বছরে ভারত ভ্রমণ ১৮ লাখ ৫৯ হাজার; রাজস্ব আয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ◈ বাংলাদেশে কম্পনের পর কম্পন—কেন হচ্ছে, কী বলছে বিশেষজ্ঞরা ◈ চরম নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের কাছে সুপার ওভারে হে‌রে গে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশকে কর্মী নিয়োগ নিয়ে সুখবর দিল সৌদি আরব ◈ খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে, আগামী ১২ ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ডা. সিদ্দিকী (ভিডিও) ◈ যে কারণে ক্ষমা চাইলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল! ◈ ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ শিলান্যাস ঘোষণা নিয়ে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা ◈ বিজয় দিবসকে সামনে রেখে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০১৯, ১২:১০ দুপুর
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৯, ১২:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযানে বাঘাইছড়ির ঘটনায় বেঁচে যায় ১৭জনের প্রাণ (ভিডিও)

বিশেষ প্রতিনিধি: ২) পাহাড়ের কোলে বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সারাদিন ভোট হয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু সন্ধ্যায় ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে চাঁদের গাড়িতে করে ফেরার পথে পাশের উঁচু পাহাড় থেকে ছুটে এল এলোপাতাড়ি গুলি। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি-দিঘিনালা সড়কের নয় মাইল এলাকায় সোমবার সন্ধ্যার ওই হামলা কেড়ে নিয়েছে দুই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ সাতজনের প্রাণ। সবুজ পাহাড়ে এই সহিংসতা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো বাংলাদেশকে। খবর পেয়েই তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। এছাড়াও এই উদ্ধার অভিযানে বিজিবি,পুলিশ অংশগ্রহণ করে। হতাহতদের সেনাবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে দ্রুত নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। মুমূর্ষুদের চট্টগ্রাম সিএমএইচ থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয় দ্রুত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। দক্ষ সেনা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের জন্য বাঘাইছড়ির সেই ঘটনায় আহত অন্তত ১৭জনের প্রাণ বেঁচে যায় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

৩) এদিকে রাঙ্গমাটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাত জনের মরদেহ ময়না তদন্ত চলছে। নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে সোমবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে তারা মারা যান। নিহতদের সবাই নির্বাচনি টিমের সদস্য। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। এরমধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৭ জনকে আনা হয়েছে ঢাকা সিএমএইচে। আর ১০ জন চট্টগ্রাম সিএমএইচে ভর্তি রয়েছেন।

৪) ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা গণমাধ্যমকে জানান, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরছিলেন কর্মকর্তারা। এসময় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির নয় কিলোমিটার এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপ) এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস-সন্তু গ্রুপ) সন্ত্রাসী বাহিনীর ব্রাশফায়ারে প্রাণ হারায় ৭ জন। ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপ বহুদিন আগে থেকেই এ পরিকল্পনা করে আসছিলো। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের জনপদকে উত্তাল করে তোলা।

৫) এ হত্যাকান্ডের সাথে পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ জড়িত বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। এই উপজেলায় চেয়ারম্যানপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন জনসংহতি সমিতির বড়ঋষি চাকমা আর সংগঠনটির এম এন লারমা গ্রুপের সুদর্শন চাকমা। এরমধ্যে সকালেই ভোটবর্জন করেন বড়ঋষি চাকমা।

৬) এদিকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। বিভিন্ন আলামত ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনার পেছনে মুখোশ বাহিনী ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) নামে পরিচিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ) এ অপকর্ম ঘটিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আমরা ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছি। যে কোনো মুহূর্তে তাদের আটক করা হবে। এই সন্ত্রাসীরা সব সময় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীর সার্বিক নজরদারি পাহাড়কে শান্ত রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বাঘাইছড়ির ঘটনায়  সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তারা।

৭) হাসপাতাল সূত্র বলছে, নিহতরা হলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কলেজের শিক্ষক আব্দুল হান্নান, ভিডিপি মো. আল আমিন, ভিডিপি বিলকিস বেগম (৩৫), ভিডিপি মিহির কান্তি দত্ত, আনসার সদস্য জাহানারা বেগম, কিশালয় প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আমির হোসেন, পথচারী মন্টু চাকমা।

৮) উল্লেখ্য, পার্বত্য অঞ্চলে হর-হামেশাই চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়ে বেড়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) এবং পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ)। একটি স্বার্থ লোভী গোষ্ঠী পাহাড়ি তরুণদের বিভিন্ন অযৌক্তিক বিষয়ে উসকিয়ে দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীতে যোগ দেয়ায়। তারপর সেসব তরুণদের দিয়ে এলাকায় নিরীহ মানুষদের থেকে চাঁদা আদায়, টাকা না দিলে গুম এমনকি খুনও করায়। এছাড়া এলাকার মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজও এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সংঘটিত করে আসছে নিত্যদিন। এই সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধাংদেহী মনোভাব প্রদর্শন করে আসছে। তাদের দমনে পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়ক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সূত্র: চ্যানেল ২৪/বাংলার উন্নয়ন/বিডি নিউজ২৪/ডিবিসি/ ইন্ডিপেন্ডেন্ট

https://www.youtube.com/watch?time_continue=8&v=ldrcl7pamfU

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়