শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:০৯ সকাল
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মায়ের লাশ দেখতে পুলিশের গাড়িতে উঠল শিশুটি

অনলাইন ডেস্ক: কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে কেরোসিন ঢেলে রুমা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ মারা যাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন স্বামী ও তার স্বজনরা। তথ্য- জাগো নিউজ

রোমহর্ষক এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি দগ্ধ হয়ে আহত গৃহবধূ ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মরদেহের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ রুমা আক্তার (২৬) ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়ার মৃত ওবাইদুল হকের ছেলে ওয়াহিদ উল্লাহর স্ত্রী ও চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাড়ার গিয়াস উদ্দীনের মেয়ে। তিনি এক সন্তানের জননী।

নিহত রুমা আক্তারের মামা আবদুল হক বলেন, ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে রুমা আক্তারের বিয়ে হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। বিয়েটি প্রেমের হওয়ায় মেনে নেয়নি তার পরিবার।

অনেক নির্যাতন সহ্য করে সুখের আসায় সংসার করে আসছিল রুমা। গত ২৮ জানুয়ারি ওয়াহিদুল হকের যোগসাজশে ভাই মামুনর রশিদ, মোর্শেদ ও মা তফুরা বেগম রুমা আক্তারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দ্রুত উদ্ধার করে ঈদগাঁওস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সদর হাসপাতালে পাঠান।

সেখানে ২-৩ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর অবস্থার উন্নতি না হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৫ জানুয়ারি সকালে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, স্বামীর পক্ষের লোকজন মৃত্যুর পর রুমাকে ঘরে নিয়ে এসে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করছিল। এমন সময়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধিকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিক ঈদগাঁও পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শাহাজ উদ্দীন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরহাতাল রিপোর্ট তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। পুড়িয়ে দেয়া মায়ের লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় মাকে দেখতে পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়ে তার ছোট শিশুটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গৃহবধূর মরদেহের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রুমার স্বজনদের মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়