ইউছুপ রেজা : চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর উত্তর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সদরঘাট থেকে অভিযান শুরু হয়। অভিযানের আগেই নদীর পাড়ের অবৈধ কাঁচা, সেমিপাকা, পাকা স্থাপনা সরিয়ে নেন। ক্রেন, গ্যাস কাটার, প্রমিক দিয়ে নিজ নিজ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে অনেক প্রভাবশালী। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান।
উচ্ছেদ অভিযানে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশ নিচ্ছেন। অবৈধ স্থাপনা ভাঙার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বুলডোজার, স্ক্যাভেটর, পে-লোডার, ট্রাকসহ সরঞ্জাম দিয়েছে। ১০০ শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ করছেন।
তাহমিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তিনদিন সার্ভে করেছি। প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। তারপর লোকজন না থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ভাঙার কাজ শুরু করি।
তিনি আরো জানান, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী অভিযান চালানো হচ্ছে। যতদিন সব স্থাপনা উচ্ছেদ না হবে ততদিন দিনের আলোতে অভিযান চলবে। সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ২০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ১০ একর জমি উদ্ধার হবে। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদের পর জায়গাগুলো কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে রাখা হবে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) আবদুর রউফ জানান, নারী সদস্যসহ দেড় শতাধিক পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিচ্ছে। সম্পাদনা :মুরাদ হাসান