ওবায়দুল কবির : রাজধানীর একটি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ও লেভেলে পড়ছে সাদমান। বাবা ব্যবসায়ী আর মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা। ছোটবেলা থেকেই ধরতে গেলে কাজের বুয়ার কাছে মানুষ সে। উল্টো করে বললে বাবা-মায়ের চাইতে কাজের বুয়াই তার সবচেয়ে কাছের মানুষ। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কিছু সময় আর ছুটির দিনে মায়ের সান্নিধ্য পেলেও বাবার সান্নিধ্য খুবই কম পায় সাদমান।
তাই স্কুল, বন্ধু বান্ধবের সব গল্প করতে হয় বুয়া আনোয়ারার সাথেই। অন্য বন্ধুরা যখন তাদের বাবা-মায়ের গল্প শোনায় তখন সে মন খারাপ করে থাকে। কেননা তার কাছে তো বাবা-মায়ের চাইতে আনোয়ারার গল্পই ঝুলিতে বেশি জমে সহপাঠীর জন্য। আর এ লজ্জায় বন্ধু-বান্ধবের আড্ডায় তার কাছে অনেক সময় তিক্ত মনে হয়। তাই ক্লাসের বাইরের সময়গুলো তার কাটে একা একা। আর বাড়িতে টিভি দেখে।
একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা আদ্রিতার। ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছে সে। মায়ের অভাব পূরণের চেষ্টায় বাবা আরেকবার বিয়ে করলেও সত্যিকারের মা হিসেবে আর সে ভাগ্যে জোটেনি তার। ঐ ঘরে নতুন সন্তান আসলে ক্রমেই দূরত্ব তৈরি হয় বাবার সাথেও। বাবা মায়ের আদরে অন্য বাচ্চাদের মতো স্বাভাবিকভাবে আর বেড়ে ওঠা হয়নি তার।
পান থেকে চুন খসলেই সৎমায়ের শাসন, ভয় আর নানা সমস্যা নিজের মধ্যেই চেপে বড় হতে হচ্ছে তার। এখানে বলে রাখা ভালো তার বাকি সৎভাইবোনেরা কী দেখছে? তারাও তো বড় হচ্ছে একজনের প্রতি বৈষম্য আর তাদের উপর গভীর ভালোবাসা আর আদরে। এভাবেই শিক্ষার চারণভূমি পরিবার থেকেই বেড়ে উঠছে দুটি পৃথক মনমাসিকতার সন্তান।
কিছুদিন আগে গুলশানের একটি আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয় ভিন্নধর্মী আর্ট প্রদর্শনীর। যেখানে বিভিন্ন স্কুলের বাচ্চারা তাদের না বলা কথা শেয়ার করে ক্যানভাসে রং তুলির আঁচড়ে। বাছাই করা পনেরো জন শিক্ষার্থীর শিল্পকর্ম স্থান পায় সেই প্রদর্শনীতে। বেড়ে ওঠার নানা প্রতিবন্ধকতা আর মানসিক স্বাস্থ্যের মতো নানা না বলা কথাগুলো তারা তুলে ধরে ঐ প্রদর্শনীতে।
এইটুকু বয়সে অনেকে যৌন হয়রাণির মতো বিষয়গুলোও তুলে ধরায় অবাক হয়েছি। অনেক অভিভাবকই অতিথি হয়ে এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। এদের বেশিরভাগই বাচ্চাদের সেসব শিল্পকর্মের মর্মভেদ করতে না পারলেও অভিভূত হয়েছেন, আনন্দ পেয়েছেন প্রিয় সন্তানের আকা শিল্পকর্ম দেখে।
অনেককেই বলতে শুনেছি তার বাচ্চার কোনো আর্টের শিক্ষক নেই। অথচ সে যা এঁকেছে তা অনেক বড় শিল্পীকেও ছাড়িয়ে গেছে। হতবাক হয়ে শুনেছি, বাচ্চাকে সময় না দেওয়া সেসব বাবা-মায়ের কথা। আর তার পাশেই অসহায়ের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে তার প্রানপ্রিয় সন্তান। সেখানকার বেশিরভাগ বাচ্চারই অভিযোগ ছিল বাসা আর স্কুলের মাঝে তাদের আর কোনো জগত নেই। নেই কস্টের বিষয় শেয়ার করার মতো কেউ। কাজের ফাঁকে ফোন করলে চাকরিজীবী বাবা-মায়ের কথা মনে হলে মোবাইলে দু-এক মিনিট কথা বলাটাও অনেক অভিভাবক বিরক্তিকর মনে করেন। এসব কষ্টে থাকা শিশুদের মনের ক্যানভাস অনেক বড় হলেও ছবি উঠে এসেছে মাত্র ২০ বাই ২২ ইঞ্চির ছোট্ট ক্যানভাসে।
চিন্তা করছি সারাদেশে এমন কত শিশু রয়েছে, যারা না পারে আঁকতে না পারে এসব লিখতে। এক বুক জালা নিয়ে হয়তো অঝরে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে না জানি কত অগনিত শিশু!
রাজধানীতে বাবা-মায়ের সরাসরি তত্বাবধায়নের বাইরে এমন কত সংখ্যক বাচ্চারা বেড়ে উঠছে-তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই কোনো সংস্থা বা শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে হয়তো এসব চিত্র রাজধানীর প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই।
জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে কিংবা জীবনের নিয়মে চলতে গিয়ে আমরা ভুলে যাচ্ছি আমাদের অনুজদের কথা। তাদের তুলে দিচ্ছি এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে। বাচ্চাদের কোনো খোঁজ খবর না রেখে, তাদের সাথে আন্তরিক না হয়ে শুধু স্কুলের ভর্তি, বেতন, শিক্ষকের বেতন, হাত খরচ ইত্যাদি চুকিয়েই আমরা যারা মনে করছি- অভিভাবক হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ করছি, তারাই হয়তো সবচেয়ে বড় ভুল করছি।
ভালো রেজাল্ট ভালো মানুষ তৈরি করে না–-এটি আর এখন বলার অপেক্ষা রাথে না। তাই লাখ লাখ টাকায় ভালো নামকরা স্কুলে ভর্তি করিয়ে আমরা যারা মনে করি সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলের দায়িত্ব শেষ করেছি-তারাই বোকার রাজ্যে বসবাস করছি। দিনের পর দিন সন্তানের কোনো খোঁজ না রেখে, তার সাথে দূরত্ব না কমিয়ে, সময় না দিয়ে, বুঝতে না শিখে শুধু ভালো একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ানোর অজুহাত দিয়ে অভিভাবকরা অঙ্কুরেই পাতা ঝরা সন্তানের দায় এড়াতে পারেন না। আর এসব কারণেই ঘরে ঘরে বেড়ে উঠছে ঐশীর মতো কিশোরী আর কিশোর গ্যাং-এর সদস্যের মতো ভয়ঙ্কর ক্ষুদে সন্ত্রাসীরা।
আজ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়তে দিন-রাত পরিশ্রম করে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন -সে সম্পদ কোনো কাজে আসবে কুড়িতেই মানসিক আঘাতের শিকার এসব কোমলমতি শিশুদের। তার চাইতে কি ভালো নয়, দূরত্ব কমিয়ে সন্তানদের সাথে প্রতিদিন সময় দেওয়া! শাসনের চাইতে বন্ধুর মতো আকড়ে পরার্মশ দেওয়া! তাদের ভেতরের মানুষটাকে পড়তে শিখে তাদের মতো করে মানুষের মতো মানুষ করা! যাতে তারাই শিখতে পারে তাদের ভবিষ্যতের ছায়া পথে হেঁটে আধারটাকে জয় করতে।
সম্প্রকি ঘটে যাওয়া আরেকটি বিষয় আলোচনা করা দরকার-শিশুদের সৎচরিত্র গঠন ও নৈতিক শিক্ষা। অনেকের ধারণা এটিও স্কুল থেকে শিখিয়ে দিতে হবে, পরিবার নয়। কিন্তু একটি বার ভেবে দেখবেন কি আপনার সন্তানটি দিনের কত ঘণ্টা স্কুলে আর কতটুকু সময় বাড়িতে বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে থাকে? স্কুল থেকে সে কী শিখে আসছে কোনো বাবা-মা কি দিন শেষে সন্তানের কাছে তা জানতে চান? নাকি হোম এসাইনমেন্ট লেখা ডায়রি বা পরীক্ষার ইভ্যাল্উুশন শীটে দেওয়া মার্কস দেখে বাচ্চার সার্বিক শিক্ষার বিষয়টি মূল্যায়ন করেন?
এখনো কি সময় আসেনি বাচ্চার এ-প্লাস বা ভেরি-গুড পাওয়া ইভ্যাল্উুশন শীট দিয়ে তাকে বিচার না করে তার মনের খাতাটি পড়ে দেখার? সেখানে কি লেখা যা গোপন করছে দিনের পর দিন ধরে। হিংসা, হতাশা, ক্ষোভ নাকি নিজের ওপর বিতৃষ্ণা। একটা কথা মনে রাখা দরকার- সব বাবা-মায়েরই দরকার তা হলো সন্তানকে সময় দেওয়া। তাকে রক্তচক্ষুর শাসন বা ভয় দিয়ে নয় বরং ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখে সময় দিয়ে জয় করুন তার মন। মনে রাখা দরকার আশপাশ যা ঘটছে যা সে দেখছে তা থেকেই সে নৈতিক শিক্ষা নিচ্ছে।
সাম্প্রতি ভিকারুননিসার ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীকে নিয়ে দুটি কথা বলতে চাই। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতেই হয়তো সে নকলের আশ্রয় নিয়েছিল। হয়তো ভালো রেজাল্ট করে বাবা মা আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবারই প্রশংসা কুড়াতে চেয়েছিল সে। আর সেই ভালো রেজাল্ট করতেই অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে সে। এখানে আমি বলব, এই অনৈতিক শিক্ষাটি তাকে দিয়েছিল কে? কে তাকে শেখালো মোবাইলে নকল করার পদ্ধতি। সেটি কি তার পরিবার নাকি স্কুল কর্তৃপক্ষ নাকি অন্য কেউ? স্কুলে মোবাইল আনা নিষিদ্ধ। হয়তো সে তা লুকিয়ে এনেছে। কিন্তু তার পরিবার কেন তাকে স্কুলে মোবাইল নিতে অনুমতি দিল? নাকি তারা তা জানেন না? যদি উত্তর তাই হয়ে থাকে তাহলে সন্তান কি করছে? লেখাপড়া না করে মোবাইলে নকল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে, কার সাথে মিশে এসব অনৈতিক বিষয় শিখছে? -সেসব খোঁজ না রাখার কারণে বাবা-মাও দায় এড়াতে পারেন না।
আর এজন্যই পরিবারকে নৈতিক শিক্ষা গ্রহণের চারণভূমি বলা হয়। আর শিক্ষকরা হলেন সে চারণভূমির রাখালের সমতুল্য। শিক্ষকদেরও উচিত পাঠ্যবইয়ের বাইরেও নৈতিক শিক্ষায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ফুটিয়ে তুলতে নিজেকে মেলে ধরা। নকল করে ভালো রেজাল্ট করা শিক্ষার্থীর শিক্ষক হওয়ার চাইতে নৈতিক, চরিত্রবান শিক্ষার্থীর শিক্ষক হওয়া অনেক সন্মানের। তাদের সেই শিক্ষাই দেওয়া উচিত- যাতে ভালো শিক্ষার্থী না হয়ে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী। তাহলেই উপকৃত হবে সমাজ, সমৃদ্ধ হবে সোনার বাংলাদেশ। আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিত শিশুরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ, আগামীর কর্ণধার।
পরিশেষে একটি ছোট গল্প দিয়ে শেষ করি। এক দেশে এক রাজা ছিল। রাজা যেমন ছিল প্রতাপশালী তেমনি ছিল নৈতিক চরিত্রবান। একদিন রাজা তার দরবারের সবাইকে ডেকে বললেন, আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি এখন আমার উত্তরসুরী হিসেবে নতুন রাজা নির্বাচন করা দরকার। এই কথা শুনে সভার সবাই হতবাক। সবাই বলে উঠল, মহাশয় আপনি যার নাম রাজা হিসেবে বলবেন, আমরা তার আজ্ঞাবহ হয়ে যাব। কিন্তু রাজা বললেন, সেটাই তো সমস্যা। কার নাম বলব? কাউকে তো আমার মত দেখছি না।
এই কথা শুনে সভার সবাই আবারও অবাক। তারা ভাবছে রাজার এতগুলো সন্তান থাকতে রাজা তার মত কাউকে দেখছে না কেন? হঠাৎ রাজা হুকুম দিলেন যে রাজ্যের যত শিশু আছে তাদেরকে দরবারে হাজির করতে। যথারীতি পরদিন রাজ্যের সব শিশু হাজির করানো হলো। রাজা সব কিশোরদের উদ্দেশ্য ঘোষণা করলেন, শোন বাছা আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি। আমি চাই তোমাদের মধ্য থেকে কেউ একজন রাজা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করো। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাজা হবে সেটা ঠিক করতেই তোমাদের ডেকেছি। এই ঘোষণা শুনে সবাই স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিল যে সে এই রাজ্যের রাজা হতে চলেছে সাথে তাদের বাবা-মায়েরাও।
এবার রাজা গম্ভীর ভাবে আবার ঘোষণা করলেন, আমি তোমাদের একটা পরীক্ষা নেব যাতে আমি বুঝতে পারি তোমাদের মধ্যে কে রাজা হবার যোগ্যতা রাখো। শিশুর হাতে একটা করে বীজ দিয়ে বললেন, তোমরা এই বীজ নিয়ে বাড়িতে টবে লাগাবে। সেটার যত্ন নেবে, তারপর এক বছর পর তোমরা এই বীজ থেকে গাছ পাবে তা সাথে করে দরবারে আসবে। তখন আমি তোমাদের মধ্য থেকে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। বীজ হাতে নিয়ে শিশুরা আর তাদের বাবা-মা বেজায় খুশি মনে বাড়িতে ফিরে গেল।
এক বছর পর রাজা সবাইকে ডাকলেন। সবাই তাদের নিজ নিজ টবে সুন্দর ফুল-ফলে শোভিত গাছ নিয়ে রাজ দরবারে হাজির। কিন্তু একটি শিশু শূন্য টব নিয়ে গেল। আর সব শিশু ও তাদের বাবা-মায়েরা ঐ শিশুর শূন্য টব দেখে হাসাহাসি করতে লাগল। কিন্তু ঐ শিশুটি ভয়ে ভয়ে তার শূন্য টবটি নিয়ে সবার পেছনে দরবারের এক পিলারের পাশে কোনো মতে লুকিয়ে থাকলো-যাতে রাজা তাকে দেখতে না পারে।
রাজা দরবারে এসে সবার ফুল-ফলে শোভিত গাছ দেখে বেশ মোহিত হয়ে গেলেন। রাজা সব শিশুদের বেশ উৎসাহ দিলেন। বলে উঠলেন, তোমরা বেশ যতœ নিয়েছ তোমাদের দেওয়া বীজের। কি সুন্দর ফুল-ফল হয়েছে তাতে। আমি মুগ্ধ। এই কথা বলে রাজা আশপাশ তাকাতেই নজর পড়ল পিলারে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ঐ শিশুর প্রতি।
রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কেন ওখানে ওভাবে লুকিয়ে আছ? বের হয়ে আস। কি সমস্যা তোমার? শিশুটি তার শূন্য টবটি নিয়ে ধীরে ধীরে রাজার সামনে এসে দাঁড়ালো। রাজা খুব নিখুত ভাবে তার টব পরীক্ষা করলেন এবং সেই বীজটি টবের মাটির তলা থেকে বের করে আনলেন। এটা দেখে দরবারের সবাই বেশ হাসিতে ফেটে পড়ল। রাজা নিজেও অট্রহাসিতে ফেটে পড়লেন।
সবার হাসি দেখে শিশুটি ও তার বাবা-মা অপমানিত বোধ করে আরো জড়োসড়ো হয়ে পড়ল। এবার রাজা বললেন, তোমাদের সবার গাছ পরিচর্চায় আমি মুগ্ধ ও অভিভুত হয়েছি। কিন্তু আমি তোমাদের সবাইকে সিদ্ধ করা বীজ দিয়েছিলাম যা থেকে কোনো ধরনের গাছ জন্মানোর কথা নয়। কিন্তু তোমরা তোমাদের বাবা-মায়ের যোগসাজশে সে বীজ পরিবর্তন করে ভাল বীজ বপন করে গাছ জন্মিয়েছ। অথচ এই শিশু সে সত্য জিনিস নিয়ে এসেছে, তার বাবা-মাও এক বছরে তাকে অন্য কোনো বীজ দেয়নি। কাজেই আমি দেখছি সে-ই সত্যবাদী ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী। আর রাজা হবার জন্য দরকার একজন নৈতিক চরিত্রবান ও সত্যবাদী মানুষ। সে বিবেচনায় আমি তাকেই আমার পরবর্তি রাজা হিসেবে নির্বাচন করলাম।
লেখক: সিনিয়র রিপোর্টার, মাছরাঙ্গা টিভি।