রবিউল আলম : প্রতিবছর কোরবানী আসলেই নড়ে চড়ে বসে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট মহল। কোরবানীর গরুর হাট বলে কথা, চলবে লুটের উৎসব, প্রশাসন করে নিরাপত্তার নাটক। গরুর হাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা পুলিশ ও র্যাবকে দেয়া হয় নাই। দেয়া হয় নাই ইজারার স্বার্থ বাস্তবায়নের দায়িত্ব। উল্টো ইজারাদারের অবৈধ কার্যক্রমকে নিরাপত্তা দিতে হয় প্রশাসনকে, শুধু ফৌজদারি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ ও র্যাব। একজন কোরবানী দাতার নিকট থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে হবে সিটি কর্পোরেশনে। তারপরেও শত শত অভিযোগ জমা আছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার নিকট। বছরের পর বছর পার করে দিয়ে ইজারাদারের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন, কিন্তু অভিযোগগুলোর কোনপ্রকার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। গরুর হাটের ইজারাদারের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমান আদালত এবং ভোক্তা অধিকারের ক্ষমতা নাই, দেওয়া হয় নাই।
গরুর হাটের নিরাপত্তার নামে চলে রং-তামাশা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গরুর হাটের নিরাপত্তা নিয়ে মত বিনিয়ম সভাও করেন ইজারাদারকে নিয়ে। গরুর মাংস ক্রেতা, গরু ব্যবসায়ী, কোরবানী দাতাদেরকে ঐ সভায় আমন্ত্রণ করা হয় না। কোরবানীর চামড়া জাতীয় সম্পদ, এই বছর অর্থ সংকটের কারন দেখিয়ে চামড়া নিয়ে কি খেলা খেলবে জানা নাই। কি আছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কপালে। কোরবানীর পশুর অভাব না থাকলেও পরিবহন স্বল্পতার জন্য কোরবানী দাতা ও পশু বিক্রেতাকে মাসুল দিতে হবে। শিশু-কিশোর আন্দোলনের সৃষ্ট পরিবহন নিয়ন্ত্রণ যে কোরবানীর জন্য বড় বাধা হয়েছে টের পাওয়া যাবে আসন্ন কোরবানীতে। সব জটিলতা একদিনে সৃষ্টি হয় নাই। সমাধানও একদিনে হবে না। তাই লেখার জন্য লেখা, ভাবনা ও সমাধানের বিষয় কর্তৃপক্ষের।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :