শিরোনাম
◈ আইসিসি উ‌ত্তে‌জিত, পা‌কিস্তান ক্রিকেট দল কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পা‌রে ◈ নি'ষিদ্ধ দলের লোককে বাসা ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং! (ভিডিও) ◈ নারীদের লেখা বই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে সরানোর নির্দেশ তালেবানের, যৌন হয়রানি নিয়েও পড়ানো নিষেধ ◈ ঢাকাসহ বি‌ভিন্ন জেলায় আওয়ামী লী‌গের কর্মকা‌ণ্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?  ◈ টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার! ◈ খেলাফত মজ‌লি‌সের মামুনুল হক হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে কেন? ◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা 

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৫৪ সকাল
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের হার বেশি : ড. রুচিলা তাবাসসুম

ফারমিনা তাসলিম : বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়। বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার প্রথমবারের মতো একটি জরিপ প্রকাশ করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবি। এতে ঢাকার সবচেয়ে উন্নতমানের মোট ৮ টি পোশাক কারখানার ৮’শ নারী শ্রমিকের ওপর এ জরিপটি চালানো হয়েছে। সে জরিপের ফলাফলের প্রসঙ্গে আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র সাইন্টিস্ট ড. রুচিলা তাবাসসুম নাভেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সারাদেশে নারী নির্যাতনের মাত্রার চেয়ে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নির্যাতনের হার অনেক বেশি।

আইসিডিডিআরবি’তে ডায়রিয়া, কলেরা নিয়ে গবেষণা করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে আগ্রহী হলেন কেন ?

এ প্রশ্নের জবাবে ড. রুচিলা বলেন, ৬০ এর দশক থেকে আইসিডিডিআরবি’তে ডায়রিয়া এবং কলেরা নিয়ে গবেষণা শুরু করে। ধীরে ধীরে এ গবেষণার ক্ষেত্রটা ব্যাপকতা লাভ করে। তার পাশাপাশি আমরা প্রচুর বিষয়ে গবেষণা করি। নারী নির্যাতন নিয়ে প্রায় তিন দশক ধরে গবেষণা করছি এবং আমাদের এখান থেকে প্রচুর গবেষণাপত্র বেরিয়ে এসেছে।

এ জরিপটাতে কী ধরনের চিত্র দেখতে পেয়েছেন ?

জবাবে ড. রুচিলা বলেন, আমাদের দেশে মূলত স্বামী কর্তৃক নারী নির্যাতনের হারটা বেশি। নির্যাতনের হারের ক্ষেত্রে, যারা উপার্জনরত নারী তাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রাটা বেশি হয়। সেজন্য আমরা ভেবেছি নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করব। সারাদেশে গত একবছরে নারীরা ২৭ শতাংশ স্বামীর দ্বারা শারীরিক এবং যৌনভাবে নির্যাতিত হয়েছে। আমরা দেখতে পারছি, পোশাক কারখানায় এধরনের নির্যাতনের মাত্রাটা ৫৩ শতাংশ। যা সারাদেশে ২৭ শতাংশের চেয়েও বেশি এবং ৫৩ শতাংশটা দ্বিগুণ। সে কারণে আমরা এ রকম একটা আন্দাজ করেছিলাম।

নারীরা অর্থ উপার্জন করে নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। এরপরেও কেন তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ?

জবাবে ড. রুচিলা বলেন, একেক দেশে একেক পরিস্থিতিতে নারীর উপার্জন ক্ষমতাটা একেকভাবে মূল্যায়ন করা হয়। আমদের দেশ পুরুষতান্ত্রিক দেশ, এখানে বিষয়টা সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায় কিছু থিওরি দিয়ে। এক হলো ব্যাকলেশ থিওরি, আরেকটা হলো জেন্ডার রুলস ডিসপ্রিপেনসি ট্রেন্ড থিওরি অর্থাৎ আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যখন নারীদের কাজ করার কথা নয়, তখন বাড়ি বসে সংসার চালানো, সন্তান উৎপাদন এবং তাদের দেখাশুনা করার কথা। সেখানে নারীরা গৃহের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। সাংঘাতিকভাবে পুরুষের ভূমিকা বলতে আমাদের সমাজে বুঝিয়েছে, পুরুষ উপার্জন করবে এবং তাদের কর্তৃত্বে নারীরা চলবে। এতে নারীরা পুরুষের রোষের মুখে পড়ছে।

আপনাদের জরিপটিকে পুরো পোশাক শিল্প শ্রমিকদের অবস্থার একটা প্রতিনিধিত্বমূলক কিছু বলা কি ঠিক হবে ?

জবাবে ড. রুচিলা বলেন, এভাবে বলা ঠিক হবে না। আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ৮টি কারখানার ওপর জরিপ করেছি। আমাদের এবং অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব কারখানা ছোট বা পরিবেশ ভালো না, সেসব কারখানায় নারী নির্যাতনের হার অনেক বেশি। স্বল্প আয়ের যারা উপার্জন করে তারা বাড়িতেও নির্যাতনের শিকার বেশি হয়। আমাদের গবেষণায় ইপিজেডের কারখানায় স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের হারটা কম। যার ফলে আমরা ধরে নিচ্ছি, প্রতিনিধিত্বমূলক হয়তো অনেক ক্ষেত্রে হবে না, আবার অনেকটা মিলও পাওয়া যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়