জাফর আহমদ: গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের জন্য ন্যুনতম মজুরি বোর্ড গঠন করেছে সরকার। কমিটির শ্রমিক প্রতিনিধি হয়েছে শামসুন্নাহার ভূইয়া এবং মালিক প্রতিনিধি হয়েছেন বিজিএমই্এ-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। রোববার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু এই তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের জন্যে সরকার মজুরি বোর্ড ঘোষণা করেছে। এই বোর্ড আগামী ৬ মাসের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করে সুপারিশ করবে। আগামী ডিসেম্বরে মধ্যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে তা ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও বলেন, আশা করি এই মজুরি বোর্ড ৬ মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশ দিতে পারবে। ডিসেম্বরে আগেই শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে পারবে সরকার।
মজুরি বোর্ড গঠন শ্রমিকদের আন্দোলনের ফসল বলে উল্লেখ করেছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, মজুরি বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকরা গত দুই বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। আমাদের সময়কে এক প্রতিক্রিয়ায় তারা এ কথা বলেন। নব গঠিত বোর্ড শ্রমিকদের দাবি মত মজুরি নির্ধারণ করুক শ্রমিক নেতাদের এই প্রত্যাশা। মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (জিটিইউসি) সাধারণ সম্পাদক প্রবীন শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, শ্রমিক প্রতিনিধি হিসাবে যাকে মজুরি বোর্ডে রাখা হয়েছে তিনি পোশাক খাত সম্পর্কে বেশ ভাল জানে। এর আগে একবার তিনি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। আমরা আশা করি, এবারও শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে তিনি পোশাক শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবেন।
বাংলাদেশ গার্মন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে বোর্ড গঠিত হয়েছে। তবে বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসাবে পোশাক শিল্পের শ্রমিককে না রেখে শ্রমিকলীগের মহিলা সম্পাদককে রাখা হলো, এটা বোধগম্য নয়। মহিলা সম্পাদককে বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসাবে রেখে শ্রমিকদের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সর্বশেষ পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে সরকার। সে সময় পোশাক শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল ৫ হাজার ৩০০ টাকা। শ্রম ও আইন অনুযায়ী ৫ বছর পর শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার কথা রয়েছে।