মুসবা তিন্নি: [২] ২০২১ সালে ব্রাজিলের ভ্যাকেরিয়া এলাকায় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি প্রাণীর। সেটির শারীরিক গড়ন ছিল কুকুরের মতো, কানের অগ্রভাগ তীক্ষ্ন, নাক পাতলা আর শরীরে ঘন পশম। আহত অবস্থায় সেটিকে চিকিৎসার জন্য পশুচিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। সূত্র : ইয়ন
[৩] সুস্থ হওয়ার পর প্রাণীটির জাত নির্ধারণে স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটির জিন বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে জানা গেছে, স্ত্রী প্রাণীটির মা একটি শিয়াল আর বাবা একটি কুকুর। গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অ্যানিম্যালস নামের একটি সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।
[৪] তবে, প্রাণীটি এখন বেঁচে নেই। গত বছর অজানা কোনো কারণে সেটির মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাণীটি কুকুর ও শিয়ালের প্রথম সংস্করণ। এ দুই প্রজাতির প্রাণী থেকে সংকর প্রাণী তৈরি হলেও সেগুলো (সংকর) সন্তান জন্ম দিতে পারে কি না, তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
[৫] কুকুর ও শিয়াল থেকে জন্ম নেওয়া ওই প্রাণী জীবিত অবস্থায় দুটি নামও পেয়েছিল। গবেষকেরা এর নাম দিয়েছিলেন ‘গ্রাক্সোরা’। কিন্তু যারা প্রাণীটির দেখাশোনা করতেন, তারা ডাকতেন ‘ডগজিম’ নামে। ‘ডগজিম’কে যে খাবার দেওয়া হতো, তা খেতে চাইতো না সেটি। খাবার হিসেবে ইঁদুরজাতীয় জীবিত প্রাণী পছন্দ করত সেটি।
[৬] প্রাণীটির সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিল ফ্লাভিয়া ফেরারি নামের এক প্রাণী সংরক্ষণবিদের। তার ভাষ্যমতে, প্রাণীটি লাজুক প্রকৃতির ছিল, কুকুরের মতো মিশুক ছিল না। আবার বন্য প্রাণীর মতো আগ্রাসীও নয়। লোকজন এড়িয়ে চলতে পছন্দ করলেও কখনো কখনো সেটির কাছে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এমটি/আইকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :