শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৩:৪৩ দুপুর
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:১৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০২ সন্তানের পিতা মুসা হাসাহিয়া কাসেরা

মুসা হাসাহিয়া কাসেরা

অনিক কর্মকার: উগান্ডার পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত বুতালেজা জেলার বুগিসা গ্রামের বাসিন্দা কাসেরার ১২ জন স্ত্রী । ১০২ সন্তানের এই জনকের নাতি-নাতনির সংখ্যা ৫৭৮। নাতি-নাতনির সংখ্যা এত বেশি যে তাদের সবার নাম মনে রাখতে পারেন না কাসেরা। এত বড় পরিবার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। প্রথম আলো

নিজ বাড়িতে বসে ৬৮ বছর বয়সী কাসেরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলছিলেন, প্রথমে এটা ছিল হাস্যরসের বিষয় ছিলো কিন্তু এখন নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিন শরীরের জোর কমছে। বিশাল এই পরিবারের জন্য মাত্র দুই একর জমি। খাদ্য, বস্ত্র ,ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারিনি বলে ছেড়ে গেছে দুই স্ত্রী।

বর্তমানে তিনি বেকার। তবে তার গ্রামটি এখন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্য যাতে আর না বাড়ে, সে জন্য তার স্ত্রীরা এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মেনে চলছেন। আমি আর সন্তান নিতে চাই না। কারণ, এত বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ থেকে আমি বুঝতে পেরেছি। সন্তানদের লালন-পালন করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

পরিবারের আয়োজনেই ১৯৭২ সালে কাসেরা প্রথম বিয়ে করেন। এ সময় তিনি ও তার স্ত্রী দুজনেরই বয়স ছিল ১৭ বছর। এক বছর পর তাদের প্রথম সন্তান হয়। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা শুধু দুই ভাই ছিলাম তাই আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব আমাকে বলেছিলেন, বংশের সম্প্রসারণে বেশ কয়েকটি বিয়ে করে অনেক বেশি সন্তান জন্ম দিতে।

গবাদিপশু বিক্রেতা ও কসাই হিসেবে সচ্ছল জীবন ছিল তার। এজন্য গ্রামবাসী তার সঙ্গে তাদের মেয়েদের বিয়ে দিতে চাইতেন। তাদের কারও কারও বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে বহুবিবাহের প্রচলন রয়েছে।

কাসেরার সন্তানদের বয়স ১০ থেকে ৫০ বছর। তার সবচেয়ে ছোট স্ত্রীর বয়স ৩৫ বছর। তিনি বলেন, প্রথম আর শেষ সন্তান ছাড়া বাকিদের নাম মনে রাখতে পারি না। সন্তানদের জন্মের বিস্তারিত জানতে একটি পুরোনো নোট বই দেখে বলছিলেন কাসেরা। তিনি আরো বলেন, সন্তানদের চিনতে তাদের মায়েরা সাহায্য করে। এমনকি কয়েকজন স্ত্রীর নামও মনে করতে পারেন না। এ জন্য নিজের এক সন্তান তাকে সাহায্য করেন।

একে/এসএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়