স্পোর্টস ডেস্ক: দুর্বলতম ফুটবল দল খুঁজতে খুঁজতে ২০২০ সালে বাংলাদেশ আবিষ্কার করেছিলো সিশেলসকে। এর আগে এশিয়ার কেউ চিনত না এই ফুটবলদলটিকে। ড্রাইভার, ট্যুরিস্ট গাইড, মিস্ত্রি ও জেলেদের নিয়ে গড়া এই দলের বিপক্ষে সিলেটে দুটি ম্যাচ খেলবে বলে বাংলাদেশ ফুটবল দল। বিদেশে গিয়েও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ফিরেছে জামালরা। সিশেলস জয় করেই জামাল-তপুরা দেশের জীর্ণ ফুটবলের হাওয়া বদল করতে চান। কালেরকন্ঠ
পূর্ব আফ্রিকার এই দ্বীপরাষ্ট্রের ফুটবলও অখ্যাত। অন্যান্য কাজের ফাঁকে তাঁরা ফুটবল খেলেন। বিভিন্ন পেশায় থাকা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সময় নিয়ে কোচের অনুশীলনসূচি সাজাতে হয়। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ফুটবল দলটির অবস্থান ১৯৯ নম্বরে। আর পেশাদার ফুটবলারদের বাংলাদেশ মাত্র সাত ধাপ ওপরে। খানিকটা যে এগিয়ে সেটাও আবার মাঠের খেলায় স্পষ্ট নয়। ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি, ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। তাই ডিফেন্ডার তপু বর্মন এটাকে ভালো সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
তিনি বলেন, সিশেলসকে হারিয়ে সমর্থকদের বোঝাতে হবে, আমরা জিততে পারি। আমাদের সামর্থ্য আছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে এই দুটি ম্যাচ জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আগে তাদের বিপক্ষে সম্ভাব্য জয় বড় স্বস্তিদায়ক হবে। শনিবার সিশেলসের বিপক্ষে ম্যাচটি সিলেটে হলেও সৌদির নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন বেশ কাজে এসেছে বলে দাবি করেছেন সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, সৌদির ট্রেনিংটা খুব কাজে দিয়েছে। কোচ কিভাবে খেলাতে চান বা তাঁর দর্শন খেলোয়াড়দের বোঝাতে পেরেছেন। অনুশীলনও হয়েছে সেই অনুযায়ী। খেলোয়াড়রা খুবই উজ্জীবিত ম্যাচ দুটির জন্য। দলের ভেতর যে স্পিরিট কাজ করছে, তাতে বলতে পারি ম্যাচ জেতার সামর্থ্য আছে এই দলের। রিপোর্ট: সাঈদুর রহমান
এসআর/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :