স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে যেনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততেই ভুলে গেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারলো লাল সবুজের দল। এটি ঘরের মাঠে টাইগারদের টানা চার টি-টোয়েন্টি হার। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪২ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। আইরিশদের জয়ের ব্যবধান ৩৯ রান।
এদিন টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহুর্তও দেরি করেননি লিটন কুমার দাস। শিশিরের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করার ঝুকি নিতে চাননি টাইগার অধিনায়ক। তবে প্রথমে বোলিং করে খুব একটা ভালো করতে পারেনি শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদরা। -- ডেইলি ক্রিকেট
ওপেনিং জুটিতে ৪.২ ওভারে ৪০ রান তোলেন দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টর। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২১ রান করা স্টার্লিংকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তরুণ এ পেসার। এরপর ১৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করা টেক্টরকে ফেরান রিশাদ হোসেন।
তিনে নামা হ্যারি টেক্টর চালান তান্ডব। এদিন ঝড় তুলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার। টাইগার বোলারদের খুব একটা সুবিধা করতে দেননি তিনি। ৩৭ বলে তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন টেক্টর। মাঝে লরকান টাকার ১৪ বলে ১৮ ও কার্টিস ক্যাম্ফার করেছেন ১৭ বলে ২৪।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ হোসেন ও শারীফুল ইসলাম।
রান তাড়ায় শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৮ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এক অঙ্কের ঘরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন কুমার দাস ও সাইফ হাসান।
এরপর শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৪ বলে ৪৮ রান যোগ করেন তারা। ১৬ বলে ২০ রান করে জাকের ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তবে ফিফটি তুলে নিয়েছেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ৫০ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস। এটি টি-টোয়েন্টিতে হৃদয়ের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস্ যা শুধুমাত্র টাইগারদের হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে শুধু।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন ম্যাথু হামফ্রিস। ৩টি উইকেট নিয়েছেন ব্যারি ম্যাকার্থি।