স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিল ফুটবল, নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পেলে, রোমারিও, বেবেতো, রোনালদো, রোনালদিনহো, কাকা কিংবা হালের নেইমারের পায়ের ছন্দ। সবুজ মাঠে বল নিয়ে এই কিংবদন্তিদের কারিকুরি মন জুড়ায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে ব্রাজিলের সে সাম্বা কিংবা জোগো বনিতা এখন ধূসর। ২০০২ এ জাপান-কোরিয়া আসরে শেষবার বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেছিলেন কাফু। এরপর কেটে গেছে ২৩ বছর। বিশ্বকাপের ট্রফি তো দূরে থাক, এই সময়ে ফাইনালটাও খেলতে পারেনি সেলেসাওরা। ----- সময়নিউজ
অবশেষে ব্রাজিল ফুটবলের ইতিহাস ভেঙে প্রথমবারের মতো বিদেশি কোচের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ভিনি-রদ্রিগোদের দায়িত্ব। কিন্তু কার্লো এসেও যে ভাগ্যের খুব পরিবর্তন করে ফেলেছেন তা কিন্তু নয়। এখন পর্যন্ত তার অধীনে তিন জয় এবং এক ড্র এর পাশাপাশি ২ ম্যাচে হেরেছে ব্রাজিল। শেষ হারটা তো রীতিমতো বিস্ময় জাগানিয়া। জাপানের বিপক্ষে ৩ গোল হজম করে হারতে হয়েছে সেলেসাওদের। তবে, আপাতত এসব প্রীতি ম্যাচের ফল নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না আনচেলত্তি। তার ভাবনাটা একেবারে ভিন্ন।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি ব্রাজিল ফুটবল মানেই কেবল জয়। এখানে হারের কোন জায়গা নেই। আমি সমর্থকদের কথা দিচ্ছি, আমরা বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি গুছিয়ে নেব। আমরা ট্রফি জেতার জন্যই সেখানে যাব। আর এটাই এখন আমার একমাত্র স্বপ্ন।
ছিলেন বিশ্বের সেরা ক্লাব কোচদের একজন। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলে এসেছেন আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে। স্বপ্নটাও তাই এখন অনেক বড় কার্লোর। প্রতিদান দিতে চান অনেকের আস্থার।
তিনি বলেন, ‘সিবিএফ আমাকে যে সুযোগ দিয়েছে সেটা অবিশ্বাস্য। ব্রাজিলের মতো দলকে কোচিং করানো যে কারো জীবনের স্বপ্ন। আমি সেই স্বপ্নকে বাস্তব করেছি। এখন প্রতিদান দেবার পালা। আমি তাদেরকে ট্রফিটা এনে দিতে চাই।
বিশ্বকাপ এতোদিন ৩২ দলের হলেও, এবার হচ্ছে ৪৮ দলের অংশগ্রহণে। সামনে পরিসর আরো বাড়াতে চায় ফিফা। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা-মেক্সিকোও আছে হোস্ট হিসেবে। সামনের দিনে এই জায়গাতেও আসছে বড় পরিবর্তন। চারদিক থেকে এসব সিদ্ধান্তের সমালোচনা হলেও, কার্লো বরং খুশি ফুটবল ছড়িয়ে যাওয়ায়।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর। এখানে যত বেশি দল খেলবে তত প্রতিযোগিতা বাড়বে। মানুষের আগ্রহ বাড়বে। আমি ফুটবলকে চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টাকে ইতিবাচক ভাবেই দেখি।
আরও একটা ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকের আগ পর্যন্ত এখন অখণ্ড অবসর কার্লোর। কিন্তু তার বসে থাকার উপায় কই। বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো পর্যালোচনা করে, নিজেদের অনুশীলন পরিকল্পনা গুছিয়ে নেয়ার সময় যে এটাই।