স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায় সুপার ফোরে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচটি হলো সেমিফাইনাল।
বুধবার বোলারদের নৈপুণ্যে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া ভারতকে বড় সংগ্রহ গড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় এক সাইফ হাসান ছাড়া প্রতিপক্ষের সামনে সুবিধা করতে পারলেন না আর কেউই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনে ৪১ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
বুধবার দুবাইয়ে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। জবাবে ৩ বল আগে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১২৭ রানে।
দলের হয়ে একাই লড়ে যাওয়া সাইফ টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ফেরেন ৫১ রানে। ডানহাতি এই ব্যাটার তার ৫১ বলের ইনিংসটি সাজান ছক্কা ও ৩ চারে। মোট চারবার জীবন পান তিনি।
সাইফ ও পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের দেখা পাননি। ১৯ বলে ২১ রান করেন ইমন।
জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দলের। বুধবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের জয়ী দল তাদের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। ভারতের এই জয়ে বিদায় নিল সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচ হারা শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে বোলিংয়ে নেমে তানজিম হাসান সাকিব শুরুটা ভালোই করেন। কিন্তু ডানহাতি এই পেসারের দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে ৭ রানে থাকা অভিষেকের কিছুটা কঠিন ক্যাচ গ্লাভসবন্দি ব্যর্থ হন লিটন দাসের বদলে এই ম্যাচের অধিনায়ক জাকের আলী। এরপরই খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন বিধ্বংসী এই ব্যাটার।
পরের তিন ওভারে বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ৫৫ রান তোলেন অভিষেক ও গিল। পাওয়ারপ্লে শেষে দলের খাতায় যোগ হয় ৭২ রান। এরপর বোলিংয়ে এসেই রানের লাগাম টেনে ধরতে শুরু করেন রিশাদ। তাকে সঙ্গ দেন সাইফ হাসান। সপ্তম ওভারে গিলকে (২৯) ফিরিয়ে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রিশাদ। এক ওভার পরে তুলে নেন শিভম দুবেকেও (২)।
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান অভিষেক। বাঁহাতি এই ওপেনার তার ফিফটি তুলে নেন ২৫ বলে। রিশাদ ও সাইফ স্পিনে দল রানের লাগাম টেনে ধরলেও একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে তা আলগা করে দেন সাইফউদ্দিন। এই ওভারে হজম করেন ১৬ রান। এর আগে পাওয়ারপ্লেতে নিজের প্রথম ওভারে দেন ১৭ রান।
পরের ওভারে অভিষেকের আগ্রাসন থামাতে বড় অবদান রাখেন রিশাদ। পয়েন্ট অঞ্চলে বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে এক হাতে সূর্যকুমার যাদবের বল থামিয়ে দ্রুত ছুঁড়ে মারেন বোলার প্রান্তে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানের দিকে। মুস্তাফিজ স্টাম্প ভাঙার আগে ক্রিজে ঢুকতে ব্যর্থ হন অভিষেক। তিনি ফেরেন ৩৭ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৫ রান করে।
এরপর বোলারদের ওপর খুব একটা ছড়ি ঘোরাতে পারেনি ভারত। সূর্যকুমারকে আউট করে ক্যারিয়ারের ১৫০তম উইকেট নেন মুস্তাফিজ। একই সঙ্গে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকও বনে যান বাঁহাতি এই পেসার।
তিলক ভার্মাকে (৫) ফিরিয়ে নিজের একমাত্র উইকেটটি নেন দারুণ বোলিং করা তানজিম। শেষ পর্যন্ত হার্দিকের ৩৮ রানের সুবাদে লড়াকু সংগ্রহ পায় ভারত। ইনিংসের শেষ বলে তাকে তুলে নেন সাইফউদ্দিন।
প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬ রান তোলা ভারত বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইনিংসের বাকি অংশে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৭২ রান। তিন ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রিশাদ।