স্পোর্টস ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করেছে। এই সিদ্ধান্ত অনেককে হতাশ করেছে, বিশেষত এমন সময়ে যখন দেশটিতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছিল। তবে স্থগিতাদেশ বড় ধাক্কা হলেও নতুন করে পুনর্গঠনের সুযোগও এনে দিয়েছে।
ক্রিকেট দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রান্তিক খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। দক্ষিণ এশীয় ও ক্যারিবীয় অভিবাসীদের কল্যাণে ধীরে ধীরে এটি ছড়িয়ে পড়ে। মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) চালুর মাধ্যমে খেলার মান ও আকর্ষণ বাড়ে। --- ডেইলি ক্রিকেট
আধুনিক অবকাঠামো, ফ্র্যাঞ্চাইজি দল ও আন্তর্জাতিক তারকার উপস্থিতি দর্শক ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ জাগায়। বিশেষ করে ২০২৪ টি–২০ বিশ্বকাপে সহ-আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানকে হারানো ও কোয়ার্টার ফাইনালে লড়াই যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। আলী খান, মনাঙ্ক প্যাটেল, স্টিভেন টেলরের মতো ক্রিকেটাররা তখন আলোচনায় আসেন।
কিন্তু প্রশাসনিক দুর্বলতা সব সাফল্যকে ছাপিয়ে যায়। তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতার অভাব, অকার্যকর শাসনব্যবস্থা ও আইসিসির নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটি নিষেধাজ্ঞায় পড়ে।
স্থগিতাদেশের পর যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট সরাসরি আইসিসির তত্ত্বাবধানে চলবে। আইসিসি একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসক নিয়োগ করবে, তহবিল নিয়ন্ত্রণ করবে এবং খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি নতুন সংবিধান, আর্থিক নিরীক্ষা ও জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশনা দেবে। স্থানীয় ক্রিকেট, বিশেষ করে যুব ও মেয়েদের খেলা সচল রাখতেও আইসিসি উদ্যোগ নেবে।
অতীতে নেপাল ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশ শর্তসাপেক্ষে পুনর্বহাল হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রও ধাপে ধাপে একই সুযোগ পাবে। সংস্কার বাস্তবায়ন করা গেলে তারা দ্রুত পূর্ণ সদস্যপদ ফিরে পেতে পারে।
সর্বোপরি, যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বড় সংকটে পড়লেও এর সম্ভাবনা অটুট। সঠিক নেতৃত্ব ও সংস্কার হলে তারা ভবিষ্যতে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তি হয়ে উঠতে পারবে।