শিরোনাম
◈ রোহিঙ্গা সংকট ও নির্বাচন: ইইউ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য সুপারিশ ◈ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন ৭ কর্মকর্তার রদবদল ◈ ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ◈ রাজধানীতে আত্মগোপনে থাকা আ. লীগের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার ◈ সংসদ নির্বাচনের প্রতীকের তালিকায় নেই শাপলা, স্থগিত নৌকা— ইসির প্রজ্ঞাপন জারি ◈ ইইউভুক্ত দেশে অক্টোবর থে‌কে নতুন এন্ট্রি সিস্টেম ◈ দারিদ্র্য কারও স্বপ্নের পথে বাধা হওয়া উচিত নয়: প্রধান উপদেষ্টা ◈ দেউলিয়ার পর্যায়ে ১২ ব্যাংক, গ্রাহকদের টাকার কী হবে? (ভিডিও) ◈ এ‌শিয়া কা‌পের ফাইনা‌লে ভারত, ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪১ রা‌নে হে‌রে গে‌লো বাংলাদেশ ◈ ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৬ রাত
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গা সংকট ও নির্বাচন: ইইউ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য সুপারিশ

বিশ্বে যখন চারদিকে গণতন্ত্রের অবনতি হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের দিকে হাঁটছে। এ জন্য তারা সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কারের প্রতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিশ্রুতি দেখাতে হবে। 

চলতি মাসে ঢাকা সফর করে যাওয়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার-বিষয়ক উপকমিটি বাংলাদেশ নিয়ে বুধবার তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। পার্লামেন্টের সদরদপ্তরে উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এসব কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন উপস্থাপনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সফরে আসা প্রতিনিধি দলের প্রধান মৌনির সাতৌরি।

মৌনির সাতৌরি বলেন, আমাদের সফরের দুটি উদ্দেশ্য ছিল। এক অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে মানবাধিকার। দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রায় ভুলতে বসা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি। রোহিঙ্গা সংকট যাতে হারিয়ে না যায়, সে জন্য এটি ইইউর রাজনৈতিক এজেন্ডায় আবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সরকারের সংস্কার কাজ নিয়ে তিনি বলেন, এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতার প্রস্তাব করেছি।

প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য ইজাবেল উইসেলার-লিমা বলেন, আশা করা জরুরি যে, সামনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং তা প্রতিযোগিতামূলক। অন্তর্বর্তী সরকার এ জন্য চেষ্টা করছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির। সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজা সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি মানুষ ভুলে যাচ্ছে। এ সংকট আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ মিয়ানমার তাদের দায়িত্ব নিচ্ছে না। 

দলের সদস্য আরকাদিউজ মুলারজিক বলেন, মুসলিম বিশ্ব ও ভারত রোহিঙ্গাদের পিঠ দেখিয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে সবচেয়ে বেশি মানবিক অনুদান আসে ইউরোপের দেশগুলো থেকে। আগে যুক্তরাষ্ট্র বেশি সহযোগিতা দিত। মুসলিম দেশগুলোর তরফ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রতিশ্রুতি খুবই নগণ্য। এটি আশ্চর্যজনক এবং গ্রহণযোগ্য নয়।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্যাটারিনা ভিয়েরা বলেন, এটি পরিষ্কার– দেশটি এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটি একটি সুযোগ সত্যিকারের অগ্রগতির। সামনে হয়তো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের ভেতরে গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবাই নির্বাচনটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেখতে চায়। এ বিষয়গুলো শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে আসেনি। এসেছে নাগরিক সমাজ, ছাত্র ও যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকেও। তারা নিজেদের মধ্যে সংলাপের মধ্যে রয়েছে। যদিও অনুতাপের বিষয়– ধর্মীয়, লিঙ্গ ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু এবং নারীদের এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ নেই। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সমাজ গঠনে এখানে উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সংস্কারে উৎসাহ, যারা সংস্কারে কাজ করছেন তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ ও গণতান্ত্রিক কাঠামোয় গঠনমূলক সহযোগিতা করে ইইউ ভূমিকা রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় বাংলাদেশ সামনে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেবে বলে মনে করি। 

গত ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার উপকমিটির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করে। এ সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ, সংগঠন, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বহুপক্ষীয় সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরও পরিদর্শন করেন তারা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়